কর্ণফুলী সেতুর শহর প্রান্তে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম স্থাপনের আহ্বান

সিএমপি কমিশনারের নিকট মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতির চিঠি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ জুলাই, ২০২৫ at ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আইনশৃঙ্খলার আরও উন্নতি ও মামলা বাণিজ্য থেকে নিরাপরাধ ব্যবসায়ীদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান ও নগরী যানজট নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর শহর প্রান্তে একটি ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম স্থাপনের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (সিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি লিখেছেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান।

গতকাল লিখা সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের মূল চালিকা বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। যেখানে জাহাজে রপ্তানি পণ্য বোঝাই ও বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম সব সময় চলমান থাকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্দর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে গতিশীলতা অতিগুরুত্ব বহন করে। আপনি জানেন, কিছু দুস্কৃতকারী কর্তৃক ইদানিং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ নিরাপরাধ মানুষকে বিগত সরকারের দোসর বলে মিথ্যা মামলা বা মব সৃষ্টি করে হয়রানি করা হচ্ছে। মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার বা অপারগ হলে শিল্প কারখানা ভাঙচুর ইত্যাদিতে উৎপাদন ও রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা দেশের অর্থনিতীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

খলিলুর রহমান আরো বলেন, বর্তমানে কিছু গাড়ি চালক দেশে ফ্রি স্টাইল পরিবহন কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অনিয়ম পার্কিংসহ নানা ভাবে জট সৃষ্টি করছে। উল্লেখ্য কর্ণফুলী ব্রিজের শহর প্রান্তে সারাক্ষণ অনিয়ম পার্কিং ও পুরো রাস্তায় যাত্রী উঠানামা সহ অতি মাত্রায় জট সৃষ্টি করছে। যেহেত এটি পর্যটন নগরী কঙবাজারগামী দূরপাল্লার বহু গাড়িসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মূল সংযোগ স্থল। তাই এখানে যানজট নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা জরুরি। যেহেতু চট্টগ্রাম শহরের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সংযোগস্থল, তাই এখানে সার্বক্ষনিক পুলিশিং ব্যবস্থা থাকলে এই এলাকায় ভাসমান হকার নিয়ন্ত্রণসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় ছাত্রী নিপীড়নে অভিযুক্ত সেই শিক্ষক বরখাস্ত
পরবর্তী নিবন্ধশ্রেণিকক্ষের পাশে বইমেলা