বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশনের পরিচালক (অর্থ) এবং পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশল) যুগ্মসচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,কর্ণফুলী পেপার মিলকে আধুনিকায়ন করে চালু করার জন্য সরকারের বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে ৭টি বড় কারখানা তৈরি করা হবে। এর জন্য বড় আকারের বাজেটও সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে চন্দ্রঘোনা শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিতি পাবে। অনেক লোকেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ হবে। যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক গত ২ অক্টোবর কেপিএমের ১৪ জন বাঁশ ও পাল্পউড সরবরাহকারী ঠিকারের মাঝে প্রায় ৩ কোটি টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উল্লেখিত বক্তব্য রাখেন। এসময় কেপিএমের প্রাক্তন সকল বাঁশ ও পাল্ডউড সরবরাহকারী ঠিকাদার এবং তাদের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কেপিএমের ব্যবস্থপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেপিএমের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মঈদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আবুল কাশেম রনি, মো. মজিবুর রহমান, আলী আহম্মদ, রূপম বড়ুয়া, আবদুল রাজ্জাক ,কাজী মো. আবু সরোয়ার প্রমুখ। যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কাগজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর্ণফুলী পেপার মিল এক সময় ছিল আমাদের জাতীয় সম্পদ। দীর্ঘ ৭৫ বছর একনাগাড়ে সচল থাকার কারণে এর কলকব্জা গুলো অনেক ক্ষেত্রে অচল হয়ে পড়েছে। ভবন গুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। দক্ষ শ্রমিক কর্মচারি কমে গেছে। বর্তমানে শ্রমিক কর্মচারি কর্মকর্তার স্বল্পতা থাকা সত্বেও কেপিএম এখনো উন্নত মানের কাগজ উৎপাদন করে যাচ্ছে। তবে এই অবস্থায় কেপিএমকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই কেপিএমকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে পেপার মিল ছাড়াও কেম্যিকাল ইন্ডাষ্ট্রিজসহ মোট ৭টি কারখানা বসানো হবে। তখন কেপিএম আবার আগের রূপ ফিরে পাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে দীর্ঘ ১০ বছর পর পাওনা সকল টাকা এক কালিন পেয়ে ১৪ জন ব্যবসায়ী অনেক খুশি। ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বলেন, বছরের পর বছর আমাদের টাকা কেপিএমের কাছে আটকা পড়েছিল। এই টাকার অভাবে আমরাও অনেক কষ্ট ভোগ করেছি। তিনি বলেন, কেপিএম যদি আবার পূর্ণ মাত্রায় উৎপাদন শুরু করে এবং আমাদের সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা সকল ব্যবসায়ী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত থাকবো।