কর্ণফুলী পাড়ে স্বজনদের দিনভর বিলাপ

পটিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ ডুবির ঘটনায় কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামের ঘটনাস্থল ‘সি রিসোর্স ডকইয়ার্ড’ ঘাটে দিনভর নিখোঁজ স্বজনরা বিলাপ করেছেন। নদীর পাড়ে বসে অশ্রু জল নিয়ে ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছিল প্রিয়জনকে হারানো স্বজনরা। কারো পুত্র, কারো ভাই, আবার কারো স্বামী। এভাবে প্রিয়জনদের হারানোর ব্যথা নিয়ে নদীর পাড়ে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিল কখন প্রিয়জন ফিরে আসে। এর মধ্যে আবার অনেক স্বজন অপেক্ষা করছিল উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো কখন তাদের কাছে ফিরিয়ে দিবে।
নিহত জাহাজের সহকারি মাস্টার রহমত আলীর ষাটোর্ধ্ব মা শায়ের খাতুন দিনভর ছেলের জন্য নদীর পাড়ে বসে বিলাপ করেছেন। ‘আমার ছেলেকে কি আর জীবিত দেখব না। ছেলে কি জাহাজ থেকে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে সালাম করবে না’। এসব নিরোত্তর প্রশ্ন করেই কেঁদে যাচ্ছিল মা শায়ের খাতুন। কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার রহমত আলী তিন ছেলে-মেয়ের জনক। বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরাও কাঁদছিল অঝোরে। পিতা কিংবা স্বামী আর জীবিত ফিরে আসবে না এ কথাটি নিজের মনকে যেন বুঝাতেই পারছিল না তারা।
নিহত জহিরুল ইসলামের (৩৫) ছেলে রাকিবুল হাসান ও নিহতের ভাই নুরুল ইসলাম বলেন, জাহাজের মালিকপক্ষ র‌্যাংকন ফিশিং গ্রুপের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সহযোগিতা বা সহযোগিতার আশ্বাস আমরা পাইনি। রাকিবুল বলেন, ৪০ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও বাবার লাশের কোনো খোঁজ যখন পাচ্ছিলাম না। তখন নগরীর সদরঘাটস্থ র‌্যাংকন গ্রুপের অফিসে গেলে তারা আমাদের অসহযোগিতা করেন এবং লাশ পেলে ফোন করবেন বলে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
এ বিষয় জানতে র‌্যাংকন গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আদনানকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে বলেন, কোম্পানীর ওয়েবসাইটে গিয়ে চেয়ারম্যানের মোবাইল নাম্বার নিয়ে কথা বলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘হুম্মাম কাদেরের স্লোগান নিজের, বিএনপির নয়’
পরবর্তী নিবন্ধপাইকারিতে বিদ্যুতের দাম আগের মতই থাকছে