কর্ণফুলী নদীর ১৮’শ বর্গফুট জায়গা ফেরত দিতে বন্দরের ৩ দিনের আল্টিমেটাম

জে. জাহেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার , ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ২:২২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর বামতীরে শাহ আমানত সেতুর পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে ১৮’শ বর্গফুট ভরাট করা জায়গা আগামী ৩ দিনের মধ্যে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে অনুমোদনহীন বার্জ সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বন্দরের এস্টেস শাখা থেকে কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন ও অভিযুক্ত মেসার্স নাহার ট্রেডিং এর কাছে পৌঁছালো বলে নিশ্চিত করেছেন প্রশাসন এবং মেসার্স নাহার ট্রেডিং এর প্রোপাইটর মোহাম্মদ হাবিব।

গত ২৫ আগস্ট বন্দরের এস্টেট শাখা ওই চিঠিটি প্রেরণ করলেও ৬ দিন পর কর্ণফুলীতে পৌঁছায়।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “মেসার্স নাহার ট্রেডিং” কর্তৃক শিকলবাহা মৌজাস্থ কর্ণফুলী নদীর বামতীরে কর্ণফুলী ব্রীজের পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে নদী তীরবর্তী ১৮০০ বর্গফুট জায়গা ভরাটসহ চট্টগ্রাম বন্দরের অনুমতি ব্যতিত ৬০-০” × ২৫-০” পরিমাপের ১টি বার্জ স্থাপন করা হয়েছে। যা-প্রচলিত আইনে দন্ডনীয় অপরাধ।

এছাড়াও চিঠিতে আরো উল্লেখ করেছেন, “আগামী ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে ভরাটকৃত নদীভূক্ত জায়গা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া ও অননুমোদিত বার্জ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

একই চিঠির অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে।

এ প্রসঙ্গে পটিয়া শান্তিরহাট এম এইচ ইঞ্জিনিয়ার প্লাজার (২য় তলা) মেসার্স নাহার ট্রেডিং এর প্রোপাইটর মোহাম্মদ হাবিব বলেন, ‘ বন্দরের চিঠিটা আজকে মাত্র আমি হাতে পেয়েছি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এর ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর জায়গায় অবৈধভাবে ১৮’শ বর্গফুট জায়গা ভরাট করা হয়েছে। আমরা ৩ দিনের মধ্যে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত দুই মাস যাবৎ ইটের খোয়া, মাটি ও বালি দিয়ে কর্ণফুলী নদীর বামতীর শাহ আমানত সেতুর (নতুন ব্রিজ) নিচে নদীর জমি ভরাট করার অভিযোগ ছিলো মেসার্স নাহার ট্রেডিং ও মেসার্স আউলিয়া কর্পোরেশন নামক দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

পরে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক কর্ণফুলী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা, বন্দর কতৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান বলে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমর্থকদের আল্লাহ ও রাসুল এর নির্দেশিত পথে চলতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধস্পিকার পদ থেকে শিরীন শারমিন চৌধুরীর পদত্যাগ