কর্ণফুলী দক্ষিণ পাড়, চবি এবং মীরসরাই শিল্পপার্কে মেট্রোরেল নেয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৪:২১ অপরাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে কলকাতার পর চট্টগ্রামই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। সারাদেশে ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ চলছে। সারাদেশে যত অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে তার সমপরিমাণ হবে মীরসরাই অর্থনৈতিক। দেশ শিল্প উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। শিল্প খাতে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরে লোক সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় লোকসংখ্যা ৮৫ লাখ। সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭০ লাখ মানুষ বসবাস করে। এভাবে লোকসংখ্যা বাড়ছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর পরিবহন মাস্টার প্ল্যানসহ মেট্রোরেলের সমীক্ষার জন্য প্রিলিমিনারি সার্ভে কাজ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন তিনি নিজকাঁধে নিয়েছেন। সেই ঘোষণা এখন বাস্তবায়ন করছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও এ মেট্রোরেল করার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু টানেল থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল যেতে পারে। যেহেতু সেখানে শাটল চলাচল করে। এ ছাড়াও কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড় এবং মীরসরাই শিল্পপার্কে পর্যন্ত কীভাবে মেট্রোরেল নিয়ে যাওয়া যায় এসব বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা উচিত।

তিনি সেবা সংস্থা গুলোর উদ্দেশ্য বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে আলাদা বসার পরিকল্পনা হয়েছে। রেলওয়ে, ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সবার সঙ্গে আলাদা বসার পর একটি পরিকল্পনা নিতে হবে।

সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে হবে। দেশ ছোট তাই মাল্টিপল ব্যবহার করতে হবে। এটা আমার জায়গা এটা কাউকে ব্যবহার করতে দেব না। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মেট্রোরেল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও এসব বিষয় আসবে। সেটি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। তাহলে পরিকল্পিত উন্নয়ন হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে বে টার্মিনাল হতে যাচ্ছে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। আমরা অনেক কিছু দেখতে পাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেককিছুই দেখতে পান। তিনি সুদূর পরিকল্পনা নিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে মতামত দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মালেক, যুগ্ম সচিব মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

সভায় মতামত প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ। উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকার প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’র চেয়ারম্যান মি. জিনহুক পাইক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিনহা হত্যায় প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের নথি হাইকোর্টে
পরবর্তী নিবন্ধবিটুমিনের উৎপাদনে কর বেশি, আমদানিতে কম