সংযোগ বন্ধ থাকার পরও চট্টগ্রামে নিয়ম না মেনে অন্তত আড়াই হাজার গ্রাহককে নতুন সংযোগ দিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) একটি চক্র। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সংযোগগুলো দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই কাজের সাথে জড়িত তিনজনকে চিহ্নিত করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া তিনজন হলেন কেজিডিসিএলের উত্তর বিভাগের (রাজস্ব) জোন ৩ ও ৯ শাখার ব্যবস্থাপক রোকেয়া ফেরদৌসী, একই বিভাগের উপব্যবস্থাপক শাহাদাত ওসমান খান ও আইটি বিভাগের উপব্যবস্থাপক আব্দুল মবিন। গত ১১ জুন তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এ ব্যাপারে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেজিডিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ নাহিদ আলমকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন ব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) মাহমুদুল ইসলাম ও সুলতান আহম্মেদ।
সূত্র জানিয়েছে যে, বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার হাজী আমীর ছাফা নামের এক গ্রাহকের চারটি চুলার অনুমোদন আছে। কিন্তু গত ৩০ মে কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ওই সংযোগের মালিকানা পরিবর্তনের কথা বলে ফয়জুন্নেসা চৌধুরীর নামে ২৭টি চুলার অনুমোদন দেয়া হয়।
২০০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও এমনতর ঘটনা কি করে ঘটলো তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টির অনুসন্ধান চালাতে গিয়েই অনিয়মের এ চিত্র সামনে আসে। তদন্ত কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অনিয়মের প্রমাণ মিলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।












