কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (কেজিডিসিএল) মধ্যরাতে ৫৭ জন কর্মকর্তাকে দেওয়া পদোন্নতির সাথে জড়িত চার কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন স্বাক্ষরিত পৃথক পত্রে তাদের বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। কর্মকর্তারা হলেন, কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) প্রকৌশলী মো. সারওয়ার হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ফিরোজ খান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) লুৎফুল করিম চৌধুরী ও ম্যানেজার সুলতান আহমদ। আগামী ২২-২৩ নভেম্বর দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হাজিরের জন্য বলা হয়েছে। চিঠিতে পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় নথিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র, মূল পাসপোর্ট, ২০১৬ সাল থেকে ব্যাংক হিসাব বিবরণী ও আয়কর নথি আনতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২০ আগস্ট দিবাগত রাতে ৫৭ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু পদোন্নতির জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশসমেত ই-নথিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) প্রকৌশলী খায়েজ আহম্মদ মজুমদার ‘পদোন্নতির জন্য প্রস্তাবিত কর্মকর্তাদের তালিকা (রেটিং শীটসহ) নির্দেশনা মতে আমাকে না দেখিয়ে বা কোনো কিছু অবহিত না করে কমিটির নিকট উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মোটেই সঠিক হয়নি। যাই হোক, দুদকের ছাড়পত্র, দুদকের সম্মতিসহ চাকুরি প্রবিধানমালা, পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী সব কিছু যথাযথ থাকলে কমিটির সুপারিশমতে ব্যবস্থা নেয়া যায়’ লিখে স্বাক্ষর করেন। মধ্যরাতের ওই পদোন্নতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশসহ ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। ওই পদোন্নতিতে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেকেও নিয়ম অনুসরণ না করে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ উঠে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেসহ ৫৭ কর্মকর্তাকে দেওয়া পদোন্নতির অনিয়ম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন দেওয়ার পর অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে।