রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের গোডাউন ব্রিজ থেকে নেছার উল্লাহ শাহ (রহ.) মাজার পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সমপ্রতি নদী থেকে ভারী ড্রেজারের সাহায্যে অপরিকল্পীতভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অনুমোদনহীন এই বালুমহাল বন্ধের জন্য এলাকাবাসী বাধা দিলেও উল্টো তাদের প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি ও হামলা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার সকালে অপরিকল্পীতভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও ভাঙনের কবল থেকে নদীর তীর রক্ষায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সরফভাটা ৩ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণ। পশ্চিম সরফভাটা সিকদারহাটখোলা এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার কয়েক শতাধিক মানুষ। পরে সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থানীয় খাইরুল ইসলাম, মোহাম্মদ তারেক, নুরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, ছাবের তালুকদার, মো. নাজের মেম্বার, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
তারা জানান, সরফভাটা গোডাউন ব্রিজ থেকে নেছারুল্লাহ শাহ (রহ.) মাজার এলাকা সংলগ্ন জুরুর মুখ পর্যন্ত তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। সমপ্রতি একাধিক অত্যাধুনি বালু তোলার মেশিন দিয়ে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের ফলে নদীভাঙন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করছে। এলাকার মানুষ বাধা দিলে ফাঁকা ফায়ার, নদীপথে বোট নিয়ে এসে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
গতকাল মানববন্ধন শেষে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসানের কাছে লিখিত স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। বালু উত্তোলন বন্ধে এবং ভাঙনের কবল থেকে তীর রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন ইউএনও।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রাঙামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, জায়গাটা পরিমাপ করা আছে। সবমিলিয়ে ১২০০ মিটার মতো হবে। এটাতে আগামী বর্ষায় অতিভাঙন এলাকায় প্রাথমিকভাবে জরুরি জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষা করা হবে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।