কর্ণফুলীর বালুচরে সবুজের ঢেউ

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া | রবিবার , ২৮ জুলাই, ২০২৪ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ৫০ হেক্টর আয়তনের কর্ণফুলী নদীর চরের যতদূর চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষকরা চরে আবাদ করেছেন আউশ ধান। এর আগে চরেই বিভিন্ন শাকসবজি আবাদ করেছিলেন তারা। এক সময়ের ধু ধু বালুচরে এখন দুলছে সবুজের ঢেউ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন দিয়ে পাড় ভাঙন রোধে নদী থেকে বালু এনে তীরে ফেলা হয়। আর এতেই এই বালুচরের সৃষ্টি হয়। এবার এই চরে আবাদের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ২৫ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। কৃষকরা সেখানে এখন সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন।

সরেজমিনে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিস্তৃত চরে কৃষকের আবাদকৃত আউশ ধানের আবাদ এখন পরিপুষ্ট হয়ে সবুজ আকার ধারণ করেছে। মাস দেড়েক পরেই ফলন আসবে ধানের। যেখানে কৃষি অফিস থেকে লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩ থেকে ৪ টন নির্ধারণ করা হলেও হেক্টর প্রতি ফলন আরো বাড়বে বলে আশা কৃষকদের।

কথা হয় এই চরের কৃষক মো. সিরাজুল ইসলাম, মোকাররম, আবদুল মালেক, ইউনুচের সাথে। তারা জানান, প্রথমদিকে চরটি খালি পড়ে থাকলেও গত রবি মৌসুমে কৃষি অফিসের পরামর্শে চরটির প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে বাদাম, ফেলন, ভুট্টা, মিষ্টি আলু, তরমুজ সহ বিভিন্নরকমের রবি ফসল চাষ করা হয়েছিল। এবার আউশ ধানের আবাদ করেছেন তারা। লাভবান হলে আগামী বছর থেকে পুরো চরেই আউশ আবাদ করবেন বলে জানান।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার ব্যাপারে বলেন, কৃষকদের আবাদকৃত আউশধান এখন পরিপুষ্ট। কাইচ থোর বের হয়েছে। মাস দেড়েকের মধ্যেই ফলন আসবে। আশা করি সবজির ন্যায় আউশেও ভালো ফলন পাবেন কৃষকরা। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বাড়াতে কৃষি বিভাগ নানা উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কৃষকদেরও নানা প্রণোদনা ও সহায়তা দিয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে গত কয়েক বছরের তুলনায় রাঙ্গুনিয়ায় আবাদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউত্তাল সাগরে যেতে পারেনি কোনো ফিশিং ভ্যাসেল-ট্রলার
পরবর্তী নিবন্ধসব শিল্প কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ