কর্ণফুলী নদীর একটি ঘাটের দখল নিয়ে গতকাল শনিবার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন ছুরিকাহতসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘাটের দখল নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাবাজারের কর্ণফুলী নদীর গ্যাসর্যালি ঘাট দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ তার ভাগিনা মাসুদকে দিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি নেতা জাহেদের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ। জাহেদ জনৈক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পার্টনারশিপের কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে ঘাটটি পরিচালনা করলেও ওই ব্যবসায়ীকে কোনো লভ্যাংশ প্রদান করছিলেন না। বিনিয়োগকারী ওই ব্যবসায়ী বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতা জয়নাল জিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় জয়নাল জিয়া গ্রুপের লোকজন জড়ো হয়ে জাহেদ গ্রুপের কাছ থেকে ঘাটের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা জাহেদকে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। জাহেদ গ্রুপের লোকজনও প্রতিরোধে এগিয়ে এলে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ছুরিকাহতসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সূত্র বলেছে, খবর পেয়ে সদরঘাট থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুই পক্ষ সরে পড়ে। তবে উভয় পক্ষ ঘাটের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মুখোমুখি অবস্থান করছে।
সদরঘাট থানার ওসি রমিজ আহমেদ বলেন, ঘাট নিয়ে দুই পক্ষ মারামারি করেছে। খবর পাওয়ার পর থানার একটি টিম সেখানে গেলে দুই পক্ষ সরে পড়ে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।