কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের একটি মিনি পার্কের ভেতরে থাকা তিনটি সরকারি পুকুর থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৯টার সময় চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এ কে এম সাজ্জাদ শাহ আমজাদ বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় এ মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর ভোরে কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা–চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সীমানায় অবস্থিত মিনি পার্কের ভেতরে থাকা তিনটি পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। অভ্যন্তরের এসব পুকুর থেকে মাছ চুরির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা থানায় জানান। পরে পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিষয়টি তহসিলদার উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তাঁদের নির্দেশে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা করেন বলে জানান।
মামলার বাদী এ কে এম সাজ্জাদ শাহ আমজাদ বলেন, সকালে শুনেছি চরলক্ষ্যুা পার্কের ভেতরে থাকা তিনটি সরকারি খাস পুকুর থেকে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। আদৌও কি পরিমাণ মাছ নিয়ে গেছে জানি না। উপজেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে তাঁদের নির্দেশে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ রয়া ত্রিপুরা জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। কে বা কারা ভোরে সরকারি খাস জমির পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ওসি মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, চরলক্ষ্যা পার্কের পুকুর থেকে মাছ চুরির ঘটনায় অজ্ঞাত নামে মামলা করেছে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরীর টানা কয়েক দিনের অভিযানে ৪০ কোটি টাকা মূল্যের ৮ একরের সরকারি ৬টি খাস পুকুর অবৈধ দখলদার হতে উদ্ধার করেছিলেন।