চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে উপজেলা শ্রমিক দলের অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় শ্রমিক দল সভাপতি তৈয়বুল আলম আঙ্কুর মেম্বার কর্ণফুলী থানার ওসিকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও হুশিয়ারির দিন রাতেই শ্রমিক দলের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে কর্ণফুলী থানার শিকলবাহার সিডিএরটেক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ।
গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ আলী কর্ণফুলীর শিকলবাহা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমশাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি কর্ণফুলীর শিকলবাহায় শ্রমিক দলের অফিসে একদল দুর্বৃত্ত ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা দাবি করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার পরপরই কর্ণফুলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ওসি মুহাম্মদ শরীফ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
তবে কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রমিক দলের এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৈয়বুল আলম আঙ্কুর মেম্বার ওসিকে কঠোর হুশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, দু’দিনের মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলন করে ওসি আওয়ামী লোক বলে জানানো হবে। এদিকে একইদিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন মোহাম্মদ আলীকে।
তবে গ্রেপ্তার আলীর দাবি, তিনি ভাড়ায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ নেন। কিছুদিন আগে আলীকে বিএনপির একটি মিটিংয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে আলীকে মিটিংয়ে নিয়ে যান। পরে টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি শ্রমিক দলের অফিসে একটি পাথর ছুড়েছেন, কিন্তু চেয়ার ভাঙচুরের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
এ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ শরীফ জানান, ‘গ্রেপ্তার আলীর বিরুদ্ধে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেনি। তবে তাকে মহানগর আইনে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আলী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, অফিসে পাথর ছুড়লেও ভাঙচুরের জন্য সে দায়ী নয়।’