চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে শ্যালিকাকে (১৬) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুলাভাইকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
শনিবার (৮ মার্চ) রাত ১টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা (৮নম্বর ওয়ার্ড) ইছানগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটলেও সোমবার (১০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য আবু তাহের ও কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ। আটক মোঃ ওমর ফারুক (২৮) চরপাথরঘাটা (৪নম্বর ওয়ার্ড) সৈন্যারটেক পেঁজার বাপের বাড়ির মো: নাছিরের ছেলে। সে পেশায় কন্টেইনার চালক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১টা ১৬ মিনিটের দিকে শ্যালিকার বুকে হাত দেন দুলাভাই। ঘটনাটি পারিবারিকভাবে সমাধান হলেও সোমবার রাতে প্রতিবেশী এক মহিলা বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় অভিযুক্ত ওমরকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অপর আরেকটি সূত্রে জানা যায়, শ্যালিকার পরিবার সম্প্রতি ইছানগর এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এ সুযোগে ওমর ফারুক শ্যালিকাকে ধর্ষণচেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে।
সর্বশেষ তথ্যমতে এলাকাবাসী ও থানা সূত্র জানায়, ভিকটিম ১৬ বছরের কিশোরী বর্তমানে থানায় রয়েছে। ভিকটিমের পিতা মোহাম্মদ নাজু বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করছেন।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, অভিযুক্তকে আটক করে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।