কর্ণফুলীতে ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. নুরুন্নবী তানভীরের বাড়িতে গিয়ে মারমুখী আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কর্ণফুলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও শিকলবাহা ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী নুরুন্নবী। যার জিডি নং– ১৪৪৭। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন।
জিডিতে নুরুল ইসলামসহ আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন–উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব বাহার উদ্দীন (৪০), শিকলবাহা ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রহমান (৬২) ও বাহারের মামা কালো মিয়া (৫৮)। জিডিতে সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী নুরুন্নবী তানভীরের ফেইসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই সূত্র ধরে অভিযুক্তরা গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নুরুন্নবী তানভীরের বাড়িতে গিয়ে মারমুখী আচরণ এবং প্রকাশ্যে নুরুন্নবী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী যুবদল নেতা নুরুন্নবী বলেন, কিছুদিন আগে বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন জুয়েল দল থেকে বহিষ্কার হয়। এ খবরটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর আগে এস এম মামুন মিয়ার পদ স্থগিত করার নিউজগুলোও আমার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তাদের সাথে আমার কথা–কাটাকাটি হয় এবং তারা এসব ডিলেট করার জন্য বলেন। পরে তারা শনিবার আমার বাড়িতে এসে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যের মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যায়। এর পরের দিন রবিবার রাতে বাহারের মামা কালো মিয়া আমাকে মারার জন্য মাতাল অবস্থায় দা হাতে নিয়ে দৌড়ায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্ণফুলী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক নুরুল ইসলাম মেম্বার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি এনেছে সম্পন্ন মিথ্যা। তানভীরের সাথে গত এক বছরেও আমার ফোনে কোনো কথা হয়নি। আপনারা আমার ফোনটি চেক করে দেখতে পারবেন। আর বাহারের সাথে ওর যে ঝামেলাটা হয়েছিল বরং সেটি শুনার পর আমি তানভীরের নেতা টি এম জসিমের কথায় সেটি সমাধানের চেষ্টা করেছি। এখন তো নিউজ হইলে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। যার কারণে তারা মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকেও বহিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে। জানা গেছে, অভিযোগকারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুন্নবী তানভীর দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাসের অনুসারী। অভিযুক্তরা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক (স্থগিত হওয়া) এস এম মামুন মিয়ার অনুসারী। এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, হুমকির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।