৬৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল বিক্রি করার জন্য কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেকে এক ক্রেতাকে গাড়িটি দেখাচ্ছিলেন রেজাউল করিম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি। পটিয়া শান্তির হাট এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি কেনার জন্য এক ক্রেতা আসেন কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেকে।
এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে দরদামও ঠিক হয়। পরে মোটরসাইকেলে উঠে ক্রেতা একটু টেস্ট/পরীক্ষা করার কথা বলে এক টানে উধাও মোটরসাইকেলটি নিয়ে।
এরপর মোটরসাইকেলটি ফেরত পেতে ভুক্তভোগী দ্বারস্থ হন থানা পুলিশের কাছে। ৩ অক্টোবর মামলা করেন প্রতারক ক্রেতার বিরুদ্ধে। পরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
পরদিন সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার প্রতারকের নাম সাইফুল ইসলাম প্রকাশ মানিক (৩৯)। বর্তমান ঠিকানা নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ধনিয়া পাড়া মাজার গলির আবু জাফরের বাড়ি এলাকায়। তবে তার নিজ জেলা ফেনী ও পটিয়া শান্তির হাট এলাকায় একটি দোকান রয়েছে বলে জানা যায়।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম তার প্লাটিনা -১০০ সিসি চট্রমেট্রো হ-১৮-০১৭৮ বাইকটি বিক্রির জন্য বিভিন্ন জনকে বলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে মোটরসাইকেলটি কেনার জন্য একজন ক্রেতা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পরবর্তীতে তা দেখার জন্য কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক আল মদিনা হোটেলের সামনে মিলিত হন দুজন। মোটরসাইকেলটির একপর্যায়ে ৬৫ হাজার টাকায় দরদামও হয়। পরে টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার কথা বলে পালিয়ে যান প্রতারক মানিক।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী গার্মেন্টসের সিকিউরিটি গার্ড পটিয়া কোলাগাঁও এলাকার রেজাউল করিম (৩৮) বলেন, ঘটনার পরপর তার অপেক্ষায় পুরো রাত মইজ্জ্যারটেক বসেছিলাম। পরে পুলিশের আশ্রয় নিয়েছি। বিভিন্ন মাধ্যমে মানিকের সাথে যোগাযোগ করলেও সে গাড়ি ফেরত দেওয়ার কথা বলে ফেরত দে নাই।
পরে কৌশলে আমি আমার একজন বন্ধুকে দিয়ে তাঁকে ফোন করায়। আমার বন্ধুটি কৌশলে গাড়িটি কেনার কথা বলে লালখান বাজারে যোগাযোগ করলে তাঁকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে থানায় একটি মামলা হয়। পরে প্রতারককে গ্রেপ্তার ও গাড়িটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।