চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে মরিচ বাটার পাথরের শিল-পাটা দিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খোয়াজনগর গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম কুনসুমা বেগম (৪০)। তিনি বান্দরবানের আলীকদম এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর আজিজ মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুনসুমা ও আজিজ মিয়া দুই বছর ধরে খোয়াজনগরের নুরুল আবছারের মালিকানাধীন একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। ঘটনার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো এক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে আজিজ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নাঘরের মরিচ বাটার পাথরের শিল-পাটা দিয়ে স্ত্রী কুনসুমার মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাতভর চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে খোয়াজনগরের জমিদার নুরুল আবছার বলেন, “আজিজ মিয়া ও কুনসুমা প্রায় দুই বছর ধরে আমার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সকালে শুনি, আজিজ তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। পুলিশ এসে তদন্ত করছে।”
নিহতের বড় মেয়ের জামাতা মো. সজীব বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছি। বিস্তারিত কিছু জানি না।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য তাহের আহমেদ বলেন, “ঘটনার খবর শুনেছি। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা নিশ্চিত নই। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্ণফুলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন জানান, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মরিচ বাটার শিল-পাটা দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন আজিজ মিয়া। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।”
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
নিহত কুনসুমার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে বিবাহিত বলে জানা গেছে।