কর্ণফুলীতে ভাড়া বাসায় পোশাক শ্রমিক নারীর লাশ

শরীরে আঘাতের চিহ্ন, ২য় স্বামী পলাতক

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৬ জুলাই, ২০২৪ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলীতে নিজ ঘরেই নাছিমা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের খালেক মেম্বার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। লাশের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। নিহত নাছিমা পোশাক শ্রমিক ছিলেন বলে জানা যায়। পুলিশ জানায়, নাছিমা তার প্রথম স্বামী আকতারের ঘরের ছেলে কামরুল হাসান ইমন (১৮) এবং মেয়ে কানিজ ফাতেমা ইমু (১৩) সহ চরলক্ষ্যা গ্রামের মহিউদ্দিনের ভাড়া বাসায় এক বছর ধরে বসবাস করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে নাছিমার দ্বিতীয় স্বামী মোহাম্মদ সোলায়মান ভাড়া বাসায় আসেন। মেয়ে ইমু তখন বাসায় ছিলেন। রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং মেয়ে তা শুনতে পায়। গতকাল সকাল ৮টার দিকে মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে মা সামনের রুমে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে আছেন। মেয়ে তার মা ঘুমাচ্ছে মনে করে আর ডাকেনি। পরে ছেলে ইমন ঘরে এসে তার মাকে ডাকলে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে হাতপা ধরে দেখে হাতপা ঠান্ডা হয়ে আছে। ছেলেটি আশেপাশে তার মামামামী, নানানানীদের ডাকলে স্টোক করে মারা গিয়েছে মনে করে বিছানা থেকে নামিয়ে মৃতদেহ দাফন কাফনের প্রক্রিয়া শুরু করে। পরে তারা লাশের দাফনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখেন মৃত নাছিমার গলায় কালো দাগ এবং জিহ্বা বাহির করে দাঁতে কামড় দেওয়া অবস্থায়। এটা দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তারা ৯৯৯ এ কল দেন। পরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ পটিয়ার মালিয়ারায় গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযান চালালেও সোলায়মানকে আটক করতে পারেনি। পুলিশ আসার খবরে তিনি পালিয়ে যান। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহির হোসেন বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই পেনাল্টি রুখে আর্জেন্টিনাকে সেমিতে নিল মার্তিনেস
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে শিশু আহত