কর্ণফুলীতে একেরপর এক বন্য হাতি তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। রাত ও ভোরে কখনো দল বেঁধে আবার কখনো একটি এসে মানুষের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির ঘটনা ঘটাচ্ছে। গতকাল শনিবার ভোরে বন্য হাতির একটি দল উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে দলিবাপের বাড়ির মোহাম্মদ হাশেম, আবদুল মান্নান ও নাজিম উদ্দিনের বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এ সময় হাতির দলটি জমির ব্যাপক ফসল নষ্ট করে। এদিকে চলতি মাসের ৮ তারিখ ওই এলাকায় হাতির তাণ্ডবে দুই যুবক আহত হয়। এছাড়াও বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এর পূর্বে ভোরে মসজিদের এক ইমামকে হাতি আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। এখানে হাতির আক্রমণে নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আহত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় অনেকে এর জন্য বনাঞ্চল উজাড়সহ পাহাড়ে হাতির খাদ্য সংকটকে দায়ী করেন, এ বিষয়ে বনবিভাগকে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের দাবী জানান। ক্ষতিগ্রস্ত মো. হাশেম বলেন, হাতির দলটি ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে কেইপিজেডের পাহাড়ের দিকে চলে যায়। আমাদের প্রতিনিয়ত হাতির ভয় তাড়া করে। রাতে হাতির ভয় নিয়েই ঘুমাতে হয়।
জানা যায়, কয়েক বছর ধরে কেইপিজেডের পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া বন্যহাতির দলটি দিনে কেইপিজেডের লেকের পানি বা পাহাড়ে থাকলেও সন্ধ্যার পর দল বেঁধে ছুঁটে আসে লোকালয়ে। খাবারের খোঁজে আসা হাতিগুলো কৃষকের ধান, বিভিন্ন ফসল ক্ষেত নষ্টসহ বসতবাড়ি ভাঙচুর চালায়। কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বলেন, পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া হাতিগুলোর বিষয়ে বনবিভাগ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হাতির দলকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এটা বনবিভাগ জানে।