চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে নিজের পিতাকে হাত-পা বেঁধে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় বড় ছেলে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (৩১) কাতার পালাতে গিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তিনি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে তাঁকে সিএমপি পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হবে। ইতিমধ্যে কর্ণফুলী থানার একটি টিম আসামিকে আনার জন্য ঢাকায় রওয়ানা হয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা।
এর আগে ভোর ৫ টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন শাখা থেকে তার ছোট ভাই মিজানুর রহমানকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে (৬ নম্বর ওয়ার্ড) আব্দুর রহমান প্রকাশ গোয়ালের বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত পিতা নুরুল হক চৌধুরী (৬৫) ওই এলাকার মৃত নুর হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তাঁর দুই ছেলে নিজাম উদ্দিন (৩১) এবং মিজানুর রহমান (২৫) পলাতক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত নুরুল হক দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিল। প্রবাস থেকে তিনি দেশে চলে আসেন। তাঁদের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল ছিল। কিছু দিন আগে নুরুল হক তার এক গন্ডা জমি বিক্রি করেছিলেন। মূলত এ জমি বিক্রি করার জেরে
এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান। তবে কতজনকে আসামি করা হয়েছে তা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছিলো। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।