কর্ণফুলীতে ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার ২৬ দিন পর অভিযুক্ত অটোরিকশাচালক নাছির উদ্দীনকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার শিকলবাহা ১ নাম্বার ওয়ার্ডের একটি ঝুপড়ি ঘরে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার নাছির উদ্দীন কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছিদ্দিক দফাদারের বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ জানান, গ্রেপ্তার নাছির দীর্ঘদিন ধরে স্থান পরিবর্তন করে পলাতক ছিলেন। প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে শিকলবাহার ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারের পর রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) পরিতোষ জানান, গত ৯ জুলাই কর্ণফুলীর একটি এলাকায় রিকশায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে দুই কিশোরীকে তার রিকশায় তোলেন নাছির উদ্দীন।
একজন কিশোরী পালিয়ে গেলেও অপরজনকে একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে কর্ণফুলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নম্বর: ০৯) দায়ের করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই তিনি পটিয়া ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন এবং এক জায়গায় বেশিক্ষণ না থেকে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন।
পুলিশ জানায়, শিকলবাহার যে ঝুপড়ি ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেখানে গত দুইদিন ধরে অবস্থান করছিলেন নাছির উদ্দীন। অভিযানকালে সে পালানোর চেষ্টা করলেও পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে গ্রেপ্তার করে।