রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার চার ইউনিয়নের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হাজী সৈয়দ আলী সড়কের শিলক অংশে ধসের স্থান পরিদর্শন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। সড়কটির ২০০ ফুট অংশ ধসে যাওয়া এবং একই সাথে ২০০ মিটার নদীর পাড় ভাঙন ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার দৈনিক আজাদীর শেষ পাতায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষিত হলে তাৎক্ষণিক সরেজমিনে পরদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পরিমাপ করে জরুরিভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীপাড়ে জরুরি জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। এরপরপরই আমাদের সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চার ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম হাজী সৈয়দ আলী সড়কের শিলক বুচক্র হাট এলাকার দুইশত ফুট অংশ দেবে গেছে। কর্ণফুলী নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার শংকায় পড়েছে সড়কসহ ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকালে স্থানীয়রা লাল পতাকা টাঙিয়ে এই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে যেকোনো সময় সড়ক ধসে পড়ে দুর্ঘটনাসহ শিলককোদালার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এটি জরুরি সংস্কারের আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা জানান, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে এক হাজার সিমেন্ট ও বালি মিশ্রন ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। বর্ষা চলে গেলে স্থায়ীভাবে ব্লক স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।