চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ডাঙারচর ঘাট এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন কটূক্তি এবং ‘ঘাট এলাকায় বিএনপি অফিস চলতে দেব না’ মর্মে ঘোষণার পরেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে আলী আকবর (২৮) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হবার ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ডাঙারচর এলাকার কবির মেম্বার বাড়ির মৃত মো. ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মো. ইলিয়াছ (৬৫) এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। যার থানা মামলা নং-৫২/২৪।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন।
জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা (১ নম্বর ওয়ার্ড) ডাঙারচর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার মো. আলী আকবর (২৮) একই এলাকার মো. ইলিয়াছের ছেলে (বাদি)।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন-কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ডাঙারচর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বদি (৪৩), একই এলাকার মো. বাবুল প্রকাশ ভান্ডারী (৩৫), মো. মামুন (৩২), মো. শাহ আলম (৪৭) এবং মাহবুল আলম (৪৫)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে মামলার বাদী ঘটনাস্থলে বিএনপির অফিসে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। ভিকটিম তখন ওই অফিসে এসে মামলার বাদী ইলিয়াছ কে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেন। হঠাৎ আসামিরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি
শুরু করেন। পাশাপাশি হুমকি দিতে থাকেন ‘ঘাট এলাকায় বিএনপি অফিস চলতে দেবে না’।
তখন ভিকটিম কটূক্তির প্রতিবাদ জানালে আসামিরা তাঁকে ধরে মারধরের পর ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বদি বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। আমরা কোন নেতাকে নিয়ে কটূক্তি
করিনি। বরং পাওনা টাকা সংক্রান্ত জেরে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এটাকে রঙ দিতে গিয়ে মামলা সাজানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘জুলধা ঘাট এলাকায় মারামারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’