কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি ক্যাপ্টেনসহ নিখোঁজ ৭

পটিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীতে এমভি মাগফিরাত নামের একটি ফিশিং জাহাজ ডুবির ঘটনায় ক্যাপ্টেনসহ ৭ নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ১৪ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলাধীন ইছানগর সি রিসোর্স জেটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জাহাজে থাকা নিখোঁজ নাবিকরা হলেন জাহাজের স্কিপার ফারুক বিন আবদুল্লাহ, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম, চিফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী, ফিস মাস্টার মো. জহিরুল উদ্দীন, ডক সদস্য রহমত ও রাকিবের বাবা (নাম পাওয়া যায়নি)। ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজ সকলে জাহাজের কেবিনে আটকা পড়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নৌকার মাঝি মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, জাহাজটি পেছনের দিকে ছিটকে পড়ে এবং ভাটির টানে বয়ারের সাথে ধাক্কা লেগে হঠাৎ উল্টে যায়। ডেকের উপর যারা ছিলেন তারা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তারা নদীতে লাফিয়ে পড়ে এবং সাঁতার দিয়ে তীরে উঠেন। এদের মধ্যে একজনের পা কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরো কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সদরঘাট নৌ থানার ওসি একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কর্ণফুলী উপজেলাধীন ইছানগর সি রিসোর্স জেটি এলাকায় জাহাজটি মেরামতের জন্য ডক ইয়ার্ডে তোলার সময় হঠাৎ ইঞ্জিন ও পাখা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় জাহাজটি ভাটির টানে পেছনে গিয়ে একটি বয়ারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কাত হয়ে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর বয়া ও আশপাশের জাহাজ এবং বোটের সহায়তায় ১৪ নাবিক সাঁতরিয়ে কূলে উঠতে সক্ষম হন।
ওসি একরাম উল্লাহ জানান, আজ (গতকাল) সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া জাহাজের নিখোঁজ কোনো নাবিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজ সকলে জাহাজের কেবিনে আটকা পড়েছেন। জাহাজটি উদ্ধারে বন্দর থেকে একটি ক্রেন আসলেও পানির নিচ থেকে অনেক চেষ্টা চালিয়েও সেটি টেনে তুলা সম্ভব হয়নি। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হবে। এজন্য বন্দর থেকে কয়েকটি ক্রেন আনা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগোপন কক্ষে অনিয়ম, মাঝপথে বন্ধ হল গাইবান্ধার ভোটগ্রহণ
পরবর্তী নিবন্ধবাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যু