কর্ণফুলীতে গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রীকে হত্যা করে পালালো স্বামী

কয়েক দফা মারধরের পর মসলা বাটার শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়

কর্ণফুলী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই, ২০২৫ at ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে মসলা বাটার পাথরের নোড়া (শিল) দিয়ে আঘাত করে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খোয়াজনগর গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন। নিহত গৃহবধূর নাম কুলছুমা বেগম (৪০)। তিনি বান্দরবান জেলার আলীকদম এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর আজিজ মিয়ার স্ত্রী। কুলছুমা কর্ণফুলীতে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে মরিয়ম বিবাহিত।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলছুমা ও আজিজ মিয়া দুই বছর ধরে ছেলেমেয়ে নিয়ে খোয়াজনগরের নুরুল আবছারের মালিকানাধীন একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনার সময় স্বামীস্ত্রীর মধ্যে কোনো একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে কয়েক দফা মারধরের পর একপর্যায়ে আজিজ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নাঘরের মসলা বাটার শিল দিয়ে স্ত্রী কুলছুমার মাথায় আঘাত করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার ভোরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে খোয়াজনগরের ভাড়া বাসার মালিক নুরুল আবছার বলেন, আজিজ মিয়া ও কুলছুমা প্রায় দুই বছর ধরে আমার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সকালে শুনি আজিজ তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। পুলিশ এসে তদন্ত করছে। নিহতের বড় মেয়ে মরিয়ম বেগম গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মায়ের লাশ নিয়ে বান্দরবান আলী কদমের নিজ বাড়িতে যাচ্ছি। মাবাবার মধ্যে কিকারণে ঝামেলা হয়েছিল বলতে পারছি না। মায়ের লাশ দাফন শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্ণফুলী থানার এসআই রুহুল আমিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মরিচ বাটার শিলপাটা দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন আজিজ মিয়া। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আজিজ পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বাগবিতণ্ডার মধ্যে স্বামীর নোড়ার আঘাতে কুলসুমার মৃত্যু হয়েছে। স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকল্পের মেয়াদ শেষ, পড়ে আছে অর্ধসমাপ্ত কালভার্ট
পরবর্তী নিবন্ধস্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর ধর্ষণ মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ