কর্ণফুলীতে খেয়া ঘাটে যাত্রী পারাপারে ভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছেন স্থানীয়রা। জুলধা মাতব্বর ঘাট ও ডাঙ্গার চর ৯নং ব্িওসি ঘাটে গত ১৪ এপ্রিল থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়। অন্যদিকে সল্টগোলা ঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট ও সদরঘাটেও ভাড়া বৃদ্ধিতে ঘাটে ব্যানার টাঙানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ঘাটগুলোতেও ভাড়া বৃদ্ধির প্রক্রিয়া করছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এদিকে খেয়া ঘাটসমূহে অহেতুক বাড়া বৃদ্ধি করে যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ডাঙ্গারচর–সল্টগোলা ঘাট ও ৯নং ঘাটসহ কর্ণফুলী উপজেলার খেয়া ঘাটসমূহের ভাড়া বৃদ্ধির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ‘প্রতিবাদী গণ জমায়েতের’ ডাক দেয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ডাঙ্গারচর ১নং ওয়ার্ডে ডাঙ্গারচরের সর্বস্তরের জন সাধারণ এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। এসব ঘাট সমূহে ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও বাড়ে না যাত্রী সেবা। এমন অভিযোগ এসব খেয়া ঘাটের লাখো যাত্রীর।
সল্টগোলা ঘাটের বর্তমান সাব ইজারাদার আল ফয়সাল জানান, এখন মাঝিসহ বিভিন্ন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে পারাপারে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় ও যাত্রীদের দাবিকে সম্মান দেখিয়ে আমরা যাত্রী পারাপারে ভাড়া বৃদ্ধি না করার পক্ষে রয়েছি। এ প্রেক্ষিতে আজ শুক্রবারের মানববন্ধনের সাথে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।
কলেজ শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, ৫/৬ বছর পূর্বে ওই সব ঘাটে ভাড়া ছিল ৬ টাকা করে। এরপর হঠাৎ করে ১০টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করলে যাত্রীরা প্রতিবাদ করে। এরপরও তারা তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে ওই সময় দশ টাকা থেকে ১৫ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করে। ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও ঘাটগুলোতে বাড়ানো হয় না সেবার মান।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্টেট শাখার অফিসার মো. মামুনের সাথে তার মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।