কর্ণফুলীতে অপহরণের শিকার স্কুল ছাত্র মো. শরিফকে (১৭) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. রাসেল (৩৫) ও মো. নাজিম উদ্দিন (৩৪) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইছানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গত রোববার রাতে কর্ণফুলী থানার সেকেন্ড অফিসার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার দুজন হলেন চরপাথরঘাটা ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইছানগর সেলিম সওদাগরের বাড়ির মৃত সোহারাব হোসেনের ছেলে মো. রাসেল এবং চরপাথরঘাটা ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইছানগর মোশাররফ মিয়ার বাড়ির মৃত তাজাম্মল হোসেনের ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন। অপহরণের শিকার শরীফ চরপাথরঘাটা ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইছানগর সরকার বাড়ির মো. মনিরের ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে চরপাথারঘাটা ইছানগর জামে মসজিদের সামনে থেকে পার্সেলের কথা বলে অপহরণকারীরা শরীফকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শরীফ বাড়িতে না ফিরলে তার পরিবার সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে রাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, শরীফ অপহরণকারীদের হাতে বন্দি এবং মুক্তিপণ হিসেবে তিন দফায় ভিন্ন ভিন্ন টাকা দাবি করা হয়। অর্থ না দিলে শরীফকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়। পরে শরীফের বড় ভাই হানিফ কর্ণফুলী থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযানে নামে। তবে অপহরণকারীরা পুলিশের অভিযানের টের পেয়ে ভিকটিম শরীফকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে চলে যায়। পরে শরীফ পরিবারে যোগাযোগ করলে নতুনব্রিজ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ভিকটিম শরীফের বড় ভাই হানিফ বলেন, গ্রেপ্তার দুইজন ইছানগর এলাকার আমাদের পরিচত হন। তারা দুজন আমার ভাইকে পার্সেল আছে বলে অভয়মিত্র ঘাটে নিয়ে তাদের সঙ্গীদের হাতে কৌশলে তুলে দেয়।
কর্ণফুলী থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানান, অপহৃত কিশোরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং জড়িত দুইজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।












