‘নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’, ‘বিপন্ন কর্ণফুলী, বাঁচাও দেশের অর্থনীতি’ স্লোগানে কর্ণফুলীকে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি। এ সময় কর্ণফুলীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা, কার্যকর ড্রেজিং করা, অবিলম্বে নদীটিকে পলিথিন ও বর্জ্যমুক্ত করার দাবিও জানানো হয়। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নদী গবেষক অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, কর্ণফুলী বাংলাদেশের অর্থকরী নদী। জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান বিশাল। কর্ণফুলী বাঁচলে, বাংলাদেশ বাঁচবে। এ নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে টানেল। নানা ভাবে এই নদী ভূখণ্ডের জাতিসত্তার অহংকার বহন করে। খবর বাংলানিউজের। ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, কর্ণফুলীকে গতিশীল রাখতে ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বহু বছর আগে। সেই ড্রেজিং আজও কার্যকরভাবে করা সম্ভব হয়নি। পলিথিন জমে নদীর গভীরতা কমে গেছে। কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু ঘিরে জমেছে পলি। নানাভাবে নদীর পরিসর ছোট হয়ে আসছে। দখল করা নদীর জমি উদ্ধারে উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্ব রাখা এ নদীকে এভাবে অবহেলা করা যায় না। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সদস্য সুপায়ন বড়ুয়া, যুব মৈত্রী চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মিয়া, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সাইফুদ্দিন সুজন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সদস্য মোকতার আহমেদ, শামসুল আলম, অধ্যাপক শিবু দাশ প্রমুখ।