কর্ণফুলীকে গড়ে তোলা হচ্ছে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে

ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধনকালে ভূমিমন্ত্রী

পটিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের আখতারুজ্জামান চৌধুরী ওয়াই জংশন এলাকায় ১ দশমিক শূন্য ২ একর জায়গায় ৪ তলা বিশিষ্ট আর্কিটেকচারাল ডিজাইনে আধুনিক ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

এসময় তিনি বলেন, কর্ণফুলী ধীরে ধীরে শিল্পনগরে পরিণত হচ্ছে, এখানে যদি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকে তাহলে এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। সে বিবেচনায় কর্ণফুলীতে মডার্ন ফায়ার সার্ভিস করা হয়েছে। এই স্টেশনটি শুধু কর্ণফুলী উপজেলার নয়, পুরো চট্টগ্রামের যেকোনো এলাকার অগ্নি দুর্ঘটনায় কাজ করবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ধাপে ধাপে কর্ণফুলী উপজেলাকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে। তিনচার বছর আগেও যারা কর্ণফুলী থেকে বিদেশে গেছেন তারা এসে কর্ণফুলীকে চিনতে পারবে না। প্রতি মাসে কিংবা ছয় মাসে কর্ণফুলীর চিত্র পাল্টাচ্ছে। আরও উন্নয়ন হবে কর্ণফুলীতে। এলাকা মডার্ন হচ্ছে, সাথে আপনাদের চিন্তাচেতনাও মডার্ন হতে হবে। আগের চিন্তা ধারা নিয়ে সামনে আগাতে পারবেন না। গতানুগতিক চিন্তাধারা পাল্টাতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এর যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদ আতাহার হোসেন ও কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন ‘১১টি মডার্ন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি বাস্তবায়ন করেন গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম২। নির্মাণে কাজ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড কনসোটিয়াম লিমিটেড।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, আমার পিতার স্বপ্ন ছিল পশ্চিম পটিয়া থেকে সরে গিয়ে পাঁচ ইউনিয়নকে নিয়ে একটি আধুনিক আলাদা উপজেলা গড়ে তুলবেন। যার নাম হবে কর্ণফুলী উপজেলা। আমার পিতা যখন শেষবারে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হলেন তখন প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে তা জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও তখন কর্ণফুলী উপজেলা গড়তে সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার পিতা তা দেখে যেতে পারেননি। পরে আমি আমার পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে কর্ণফুলী উপজেলা গড়ে তুলি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম চিরন্তন আছে, চিরন্তন থাকবে
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম