‘বৈশ্বিক করোনা মহামারী ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেলেছে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষাঙ্গনে। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সশরীরে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বহুবিধ অনভ্যস্থতা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীগণ সামাজিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। শিক্ষকদের মান্য না করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহনশীল আচরণ লোপ পেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানসিক সমস্যা। শিক্ষার্থীগণ পরিবর্তিত প্রতিষ্ঠান, পাঠ্যক্রম ও পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ বা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সেজন্য, সমস্যাসমূহের সমাধান করা স্বাভাবিক শিক্ষা-পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি। সেজন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সম্মিলিত কাউন্সিলিং অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।’ সাজ্জাদানশীন শাহ্ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) প্রতিষ্ঠিত দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার স্কুল সাইকোলজি ফর কালটিভ্যাটিং এ নিউ কালচার অফ টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড মেন্টাল ওয়েল বিং শীর্ষক শিরোনামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন একথা বলেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজিং ট্রাস্টি নায়েব সাজ্জাদানশীন আলহাজ্ব সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। তিনি বলেন, মাইজভাণ্ডারী তরিকার উছুলে ছাবয়া বা সপ্ত কর্ম পদ্ধতি ছোট বেলা থেকে চর্চা করতে হবে। এই সপ্ত পদ্ধতি পালনে অভ্যস্ত হলে মানসিক সমস্যাসহ অনেক সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাউজান উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।