বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা গতকাল যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। নগরী ও জেলার বিভিন্ন বিহার ও মন্দিরে এ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রার্থনা করা হয় বৈশ্বিক মহামারী থেকে মুক্তির। এছাড়াও ছিল পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রদান।
বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, বুদ্ধ পুর্ণিমা উপলক্ষে উপজেলার সকল বৌদ্ধ বিহারে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রদান, সমবেত প্রার্থনা ও বুদ্ধ ধাতু প্রদক্ষিণ। এদিকে বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বাঁশখালীর শীলকুপ জ্ঞানোদয় বিহার, কেন্দ্রীয় শীলকুপ চৈত্য বিহার, দক্ষিণ জলদী বিবেকারাম বিহার, জলদী ধর্মরত্ন বিহার, ধর্মচক্র প্রগতি বিহার পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শীলকুপ জ্ঞানোদয় বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমার মতবিনিময় সভা বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি রাহুলপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সফিউল কবির, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. আজিজুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, জিল্লুল করিম শরীফি, বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া, শিক্ষক দেবপ্রিয় বড়ুয়া, প্রকাশ বড়ুয়া, হিমেল বড়ুয়া প্রমুখ। এ সময় প্রধান অতিথি বাঁশখালীর প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে অনুদান ঘোষণা করেন। যে কোন সময় পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
হাটহাজারী : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, উপজেলার বিভিন্ন বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে এই ধর্মীয় উৎসব সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হয়েছে। উপজেলার আওতাধীন বৌদ্ধ মন্দির ও বিহারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচিতে করোনা মহামারী থেকে সমাজ, দেশ ও জাতি রক্ষার জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ভোরে ত্রিপিটকের মঙ্গলবাণী পাঠের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়।