সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও করোনা সংক্রমণ উর্ধমুখী হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে চিঠি লিখেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। চিঠিতে ব্যবসায়ী নেতারা করোনায় মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিতে ১৭ দফা সুপারিশ করেন। মেট্রোপলিটন চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএ মাহাবুব চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, নগরে বিভিন্ন মার্কেটের দোকান বা বড় অফিস ও রিঙা-সাইকেল, মোটর সাইকেল-বাসে সমাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরা তদারকির জন্য নগর কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিতে পারে। কোন দোকান বা যানবাহনে মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিলে, প্রমাণ সাপেক্ষে ট্রেড লাইসেন্স বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা রিঙার লাইসেন্স এক বছরের জন্য স্থগিত করার সুপারিশ করতে পারে। নগরের সকল মসজিদ থেকে প্রতি ওয়াক্ত আজানের পূর্বে মাস্ক পরা ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া ও সকল স্থানে সমাজিক দুরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। নগরের সকল চেম্বার, এসোসিয়েশন, সকল সরকারি বা আধা সরকারি অফিস, বেসরকারি করর্পোরেট অফিস, বন্দর, কাস্টমস ও রেল কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি অফিস সমুহের নিকট করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরা, সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হাত ধোয়ার জন্য সকাল-সন্ধ্যা মাইকিং করার জন্য অনুরোধপত্র প্রেরণসহ মাইকিং করা। নগরের সকল সরকারি বা আধা সরকারি অফিস, বেসরকারি করর্পোরেট অফিস, বন্দর, কাস্টমস ও রেল কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি অফিস সমূহে মাঙ ব্যতীত কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়া এবং মাঙ ছাড়া সেবা না দেয়া ও লিফটে ঢুকতে না দেয়ার জন্য বিশেষ গার্ড নিয়োগের অনুরোধ জানিয়ে পত্রিকার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা প্রয়োজন। বিয়ে, মাহফিল, মেজবান, ওরশ, মেলা, ইফতার পার্টিসহ লোক সমাগমপূর্ণ আয়োজন বা যে কোন সমাবেশ বন্ধ রাখা, ৩ মাসের জন্য নগরের সকল কমিউনিটি সেন্টারসমূহ ও নগরের সকল কাজি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রয়োজন। যোগ্য প্রতিষ্ঠান বা দুস্থদের কাছে যাকাত পৌঁছানো ব্যতীত নগর বা গ্রামে কোন স্থানে লোক জড়ো করে যাকাত দেয়া যাবে না। মাস্ক ও সমাজিক দুরত্ব মেনে ঈদের জামাত আদায় করা, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রয়োজন ।