দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ১৫৯ জন।
আর এই সময়ে আগের দিনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ২ হাজার ১৫৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১০৪ জন হয়েছে। বিডিনিউজ
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪ হাজার ৭৭২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯৬৬ জন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে এক দিনে মোট ২ হাজার ৫৭১ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৬ নভেম্বর তা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ কোটি ৮২ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৯ লাখ ১১ হাজার ৬৬৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ লাখ ২৯ হাজার ৮১টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৮৩টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন করে মোট ৬ জন চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের এবং ১ জন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৯৩০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ২৯৮ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬৩২ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৭১৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৭৮৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮২৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৫২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৬০ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৯০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪১৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫০৫ জন খুলনা বিভাগের, ২২৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৭১ জন সিলেট বিভাগের, ৩১২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৪৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।