দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৮৩৭ জন।
আজ রবিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। বিডিনিউজ
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৮৩৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৩ জন হলো।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ১৯৪ জনে দাঁড়াল।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬৯৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪২ জন হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ কোটি ৩৯ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৩ লাখ ১১ হাজারের ঘরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ৪১ হাজার ১৯৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ০১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ আর নারী ৪ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ১৯৪ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৭৬৮ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৪২৬ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৫২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৬৩১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৬০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৪৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৮ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৪৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৮২ জন খুলনা বিভাগের, ২০৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫৭ জন সিলেট বিভাগের, ২৭৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৩০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।