করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন নিম্নবিত্তের মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে তাদের জন্য। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চললেও ঝুঁকি নিয়ে ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। গতকাল মঙ্গলবার সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় অন্যান্য দিনের মতই কাজ করতে দেখা যায় তাদের।
সীতাকুণ্ড পৌর এলাকায় রিকশা চালাচ্ছিলেন মো. আজহার। রংপুরের হারাগাছ ইউনিয়নে বাড়ি হলেও তিন বছর ধরে সীতাকুণ্ডে থাকছেন তিনি। আজহার বলেন, রিকশার চাকা না ঘুরলে বাড়িতে চুলা জ্বলে না। গত বছর ঘরে বসে ছিলাম। প্রয়োজনমত ত্রাণসামগ্রী পেয়েছি। এবার তো কেউ এগিয়ে আসছে না। পরিবারের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় বের হতে হলো। সীতাকুণ্ড বাজারের ডাব বিক্রেতা জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ব্যবসা না করলে খাব কি? পরিবারকে না খাইয়ে রাখব? বাসায় বসে থাকার মত অবস্থা আমার নেই। সীতাকুণ্ড উত্তর বাইপাস এলাকায় ভ্যান চালান খোকন মিয়া। তিনি বলেন, শখ করে তো আর ভ্যান চালাই না। পুরো পরিবারের দায়িত্ব আমার ওপর। খাওয়া- দাওয়া ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতিমাসে ১৫-২০ হাজার টাকা লাগে। ভ্যান না চালালে টাকা পাব কই?
একই কথা ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা, হকার, সিএনজি চালক, বাস চালকসহ সবার। জীবনের তাগিদে, পেটের টানেই কাজ করতে বেরিয়েছেন তারা।