করোনায় একদিনে ৯ মৃত্যু, শনাক্ত ৪১৮

| শুক্রবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৪১৮ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৪১৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭১ জন হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৮১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭১ জন হয়েছে।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৭৩ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ লাখ ৫৫ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৫টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১০টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৭৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৮ হাজার ১৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ২৪৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৯টি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ আর নারী ৪ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের এবং ১ জন বরিশাল বিভাগেরর বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৪৮ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৪৮ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার জন নারী। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৯৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৯ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৮ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীর কোথাও বিক্ষোভ কোথাও আনন্দ মিছিল
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথমবারের মতো পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন