বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-ম্যারি শু বলেছেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় ফ্রান্স দীর্ঘদিনের সারথি। ফ্রান্সের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা অর্জনে যাচ্ছে এবং ফিরে এসে তারা দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান রাখছে। ইডিইউর মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেছে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) মেধা ও ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের হাতে চেয়ারম্যানস আউটস্ট্যান্ডিং স্টুডেন্টস অ্যাওয়ার্ড প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। স্প্রিং ২০১৭ হতে স্প্রিং ২০২০ পর্যন্ত পরপর তিনটি সেমিস্টারে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ ৪.০০ প্রাপ্ত ২০ জন শিক্ষার্থীকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, উচ্চশিক্ষায় ফ্রান্স বিশ্বশ্রেষ্ঠ দেশগুলোর একটি। শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যাপীঠগুলো সভ্যতার উৎকর্ষে ভূমিকা রেখে চলেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যোগাযোগ ইডিইউ তথা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করবে। ইডিইউ সবসময়ই শিক্ষার্থীদের দেশের গণ্ডি থেকে বের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে সচেষ্ট।
সৌজন্য সাক্ষাতে করোনাকালে ইডিইউর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পাঠদানে নতুনত্ব আনয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্বের শিক্ষাখাত যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত, সেখানে ইডিইউতে এক দিনের জন্যও ক্লাস বন্ধ না হওয়া সত্যিই গর্বের এবং বিস্ময়কর অর্জন। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইডিইউ শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে আন্তরিক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, আঁলিয়ঁস ফ্রসেজ চট্টগ্রামের ডিরেক্টর ড. সেলভাম থোরেজ, ডেপুটি ডিরেক্টর ড. গুরুপদ চক্রবর্তী, ইডিইউর অ্যাসোসিয়েট ডিন শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মো. নাজিম উদ্দিন ও ড. মো. রকিবুল কবির। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন নিসর্গ নিগার, মাইশা ফাইরুজ আহমেদ, আফসানা আকতার, সামিনা আরেফিন, জান্নাতুল মাওয়া, ফাহরিন ফাইজা খান, সাদিয়া আফরিন, মোহাম্মদ হাসান ইমাম, সাদিয়া করিম, আলম মো. শাহরুপ চৌধুরী, নকিব হায়দার, কিফায়েত কামাল, সাদিয়া সুলতানা মাইশা, জুনাইত কাদের, মণীষা মর্তুজা রুদমিলা, ওয়ারদা হাবিবা ও সাহেরা আফরোজ দিনা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।