করোনায় আটকে আছে সম্মেলন সিদ্ধান্ত লকডাউনের পর

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১১ মে, ২০২১ at ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন। দীর্ঘ ২১ বছর পর আগামী ২৯ মে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকলে সম্মেলন অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। তবে মহানগর নেতৃবৃন্দ ২৯ মে সম্মেলন করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন। গত ৮ মে তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে দেখা করেছেন এবং সম্মেলনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ১৬ মে লকডাউনের পর করোনা পরিস্থিত কোন দিকে যাচ্ছে সেটা দেখার পর সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের ভেন্যু নির্ধারণ থেকে শুরু করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি, সম্মেলনকে সফল করার জন্য ১৩টি উপ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। উপ কমিটি গুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন আজাদীকে জানান, ২৯ মে সম্মেলনের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। ইতোমধ্যে আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথেও আলাপ করেছি। কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, ১৬ মে পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন আছে। ১৬ মে লকডাউনের পর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্মেলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব সালাউদ্দিন আহমেদ আজাদীকে জানান, ‘আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টায় আছি সম্মেলন করার জন্য। যদি করোনা মহামারীর কারনে সম্মেলন করতে না পারি তাহলে কি হবে-বিকল্প কি করা যায় এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আলোচনার জন্য গিয়েছিলাম। আমরা চাই কমিটিটা হোক। এজন্য আমরা সম্মেলনের চেষ্টায় আছি। আমরা সুন্দরভাবে দায়িত্ব নতুনদের কাছে ছেড়ে দিতে চাই। আমরা চাই-যারা বছরের পর বছর আমাদের সাথে ছিল, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন-তারা যেন কোন অবস্থাতেই অবমূল্যায়ন না হয়। তারা যেন নতুন কমিটিতে বাদ না যায়।’
সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রামেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ পূর্নাঙ্গ কমিটি চান নতুন কমিটির পদ প্রত্যাশীরা। ২০০১ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আর কোন সম্মেলন বা কমিটি হয়নি। প্রায় ২১ বছর পর সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ নতুন কমিটিতে তাদের দীর্ঘদিনের রাজপথের অনুসারী এবং ত্যাগীদের দেখতে চান। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম. জিয়া উদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন নগরীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকান্ডে নিজেদের সক্রিয় রেখেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আজাদ খান অভি। এছাড়াও এই গ্রুপে আছেন এডভোকেট তসলিম উদ্দিন, শাহেদ আলী রানাও। অপরদিকে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক কে বিএম শাহজাহানের অনুসারীদের মধ্যে আছেন দেবাশীষ আচার্য্য, জসীম উদ্দিন এবং মনোয়ার জাহান মনির নামও।
নগর আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দেবাশীষ নাথ দেবু। বর্তমানে এই গ্রুপে লালখান বাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল, আরশাদুল আলম বাচ্চু আজিজুর রহমান আজিজের নামও শোনা যাচ্ছে।
এদিকে নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির পদ প্রত্যাশীদের তালিকায় আছেন সুজিত দাশ, আবদুর রশিদ লোকমান ও হেলাল উদ্দিনের নাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএভাবে বাড়ি যাওয়া আত্মঘাতী : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকানাডায় বিমানবন্দরে যুবককে গুলি করে হত্যা