করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অতি প্রয়োজনীয় হলো অক্সিজেন। কেননা এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুসে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা আক্রান্তদের ফুসফুসে পানি জমায়। ফলে শ্বাসযন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন হয়। এমন সময়ে অন্য যেকোন ওষুধের চেয়ে অক্সিজেন সেবা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই করোনা মোকাবেলায় গতবছর অতি জরুরি অক্সিজেনের প্রয়োজনে একেএস প্ল্যান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন জনস্বার্থে উন্মুক্ত করে দেয় আবুল খায়ের গ্রুপ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আবুল খায়ের গ্রুপ মেডিকেল অক্সিজেন সহায়তা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন থেকে অক্সিজেনের চাহিদা ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ করবে আবুল খায়ের গ্রুপ। লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করা হবে।
গতকাল বুধবার এই সমপ্রসারণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ (সিইও), নজরুল ইসলাম (জিএম, অক্সিজেন প্লান্ট), এনপি গৌর (ডিজিএম, অক্সিজেন প্লান্ট), মো. সামসুদ্দোহা (এজিএম, অক্সিজেন প্লান্ট) এবং ইমরুল কাদের ভূইয়া (সিনিয়র ম্যানেজার, এইচ আর এ্যান্ড এডমিন)। গতবছর থেকে করোনা মোকাবেলায় অতি জরুরি অক্সিজেনের প্রয়োজনে একেএস প্ল্যান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন জনস্বার্থে উন্মুক্ত করে দেয় আবুল খায়ের গ্রুপ।
প্রতিদিন ২৬০ টন উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন দেশের বৃহত্তম এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি ব্যক্তিগত ও হাসপাতালের সিলিন্ডার বিনামূল্যে রিফিল করে দেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে ৫ হাজারের বেশি সিলিন্ডার প্রদান এবং নিজস্ব উদ্যোগে ২০টি হাসপাতালের কেন্দ্রিয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষের প্রয়োজনে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে আবুল খায়ের গ্রুপের প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।