করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর নাম নিয়ে জটিলতার নিরসনে গ্রিক বর্ণমালার শরণ নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। যুক্তরাজ্যে গতবছরের শেষ দিকে এ ভাইরাসের যে ধরনটি ছড়াতে শুরু করেছিল, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলফা’। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনটির নাম হয়েছে ‘বেটা’। আর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতকে বিপর্যস্ত করে ফেলা নতুন ধরনটি ‘ডেলটা’ নাম পেয়েছে। ডব্লিউএইচও সোমবার নতুন এই নামকরণ পদ্ধতির ঘোষণা দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে আলোচনা সহজ করার জন্যই তাদের এ নতুন পদ্ধাতির প্রবর্তন। আর এখন যেভাবে নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার পর তাকে দেশের নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হচ্ছে, সেই জটিলতাও এ ব্যবস্থায় এড়ানো যাবে বলে ডব্লিউএইচও আশা করছে।
ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরনটিকে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ বলা নিয়ে এ মাসের শুরুতেই আপত্তি জানিয়েছিল দেশটির সরকার। যে যে লেখায় বা পোস্টে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি থাকবে, সেগুলো বাদ দিতে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে বলা হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে নতুন নামের পূর্ণ তালিকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ‘ভ্যারিয়েন্টস অব কনসার্ন’ এবং ‘ভ্যারিয়েন্টস অব ইন্টারেস্ট’ এই দুটো ক্ষেত্রেই গ্রিক হরফ ব্যবহার করা হয়েছে।