করোনাভাইরাসের যে নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায়, তার বিরুদ্ধে মডার্নার কোভিড-১৯ টিকা কার্যকরী। মার্কিন ওষুধ নির্মাতা কোম্পানির বিজ্ঞানীরা এই দাবি করেছেন। গবেষণাগারের প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই টিকা দেয়ার পর শরীরের ভেতরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার তৈরি হয়, সেটি নতুন ধরনটি শনাক্ত ও ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। তবে টিকা নেয়া মানুষদের ক্ষেত্রে এটি কতটা সত্যি, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার দরকার হবে।
বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ধরনটি। ধারণা করা হয়, এই নতুন ধরনটি আগেরটির তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সেটি আগের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক নয় বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরনটি অন্তত ৭০ শতাংশ বেশি হারে বিস্তার ঘটাতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে যে টিকাগুলো আবিষ্কার করা হয়েছে, সেগুলো করোনার প্রথম দিকের ধরন ঠেকানোর চিন্তা করে তৈরি করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি নতুন ধরন ঠেকাতেও কাজ করবে, যদিও তা নিয়ে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত নন। প্রাথমিক কিছু ফলাফলে দেখা গেছে, ফাইজারের টিকাটি যুক্তরাজ্যের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকরী। মডার্নার এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন আটজনের রক্তের নমুনা নিয়েছেন যারা মডার্নার টিকার দুটি ডোজই গ্রহণ করেছেন।
তাদের গবেষণার ফলাফলের এখনো বিশেষজ্ঞ পর্যালোচনা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, টিকাটি করোনার নতুন ধরনটি শনাক্ত করতে পারে। টিকার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যবহার করে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি ভাইরাসটিকে শরীরের কোষে প্রবেশে বাধা তৈরি করে। এখন মডার্না গবেষণা করছে, তৃতীয় আরেকটি ডোজ দেয়া হলে তা উপকারী হয় কিনা। টিকাটি নতুন করে তৈরি করা হলে তা নতুন ধরন মোকাবেলায় আরও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে কিনা।