বিশিষ্ট শিল্পী ও কবি খালিদ আহসান আর নেই। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর বিশেষায়িত হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
খালিদ আহসান নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় নিজস্ব ভবনে দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে বসবাস করতেন। মাসখানেক আগে করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক আরো নানা জটিলতায় অবস্থার অবনতি হলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়। খালিদ আহসানের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ দুপুর ১২ টায় চেরাগী পাহাড় মোড়ে রাখা হবে। বাদ জোহর কদম মোবারক জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে কদম মোবারক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
কবি ও শিল্পী খালিদ আহসানের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ এমপি। শোকবার্তায় তিনি বলেন, খালিদ আহসানের ইন্তেকালে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ একজন কৃতী সন্তানকে হারাল। তিনি শুধু একজন কবিই ছিলেন না, একই সঙ্গে ছিলেন নিবেদিত এক শিল্পী। আরও শোক প্রকাশ করেছেন-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সিএসইর পরিচালক ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান স্থপতি সোহেল মো. শাকুর, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, খালিদ আহসান রেনেসাঁ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রচ্ছদ শিল্পীও। জন্ম ১৯৫৭ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে। বাবা ডা. মো. মোবিনুল হক ও মা মোহসেনা বেগম। তার সম্পাদিত ছোট কাগজ চোখ (১৯৭৮) ও বুলেট (১৯৭২)। খালিদ আহসানের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ঝিঁঝিঁর কনসার্ট (২০১৯), বর্ণ, চক্ষু, অন্তঃকরণ (২০১৪), কলম লিখেছে কবিতা আমি তার প্রথম শ্রোতা (২০১৪), এনেসথেসিয়া (২০১০), পৃথিবীর শিরা-উপশিরা (২০১২), তোমাকে পানকৌড়িকে (২০০৮), মন্দলোক ও কাঠের ঘোড়া (২০০৪) ও শীতের কফিন থেকে উৎসারিত মানিপ্ল্যান্ট (২০০১)।