করোনাকালে ইন্টারন্যাশনাল রোটারী ক্লাবের অর্থায়নেপরিচালিত “অনুর্ধ্ব ৬ বছর অন্ধত্ব ও মৃত্যু প্রতিরোধ” কার্যক্রমের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে করোনা পূর্ববর্তী কার্যক্রম, তার সুফল ও করোনাকালে কিভাবে কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা হয়। বর্তমান অবস্থায় যেহেতু মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, তাই তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে ছিলেন রোটারী ক্লাব অব খুলশী, চট্টগ্রাম থেকে পিপি রোটারীয়ান মো. মহিউদ্দীন ও সিপি রোটারীয়ান রিজওয়ান শাহিদি, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ওসমানি ও ডা. সোমা রানী রায়, মো. সায়েম মোর্শেদ ও নন্দদুলাল রায়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ইন্টারন্যাশনাল রোটারী ক্লাবের অর্থায়নে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রোটারী ক্লাব অব খুলশী, চট্টগ্রাম ও মিয়াবুশ রোটারী ক্লাব,জার্মানীর যৌথ উদ্যোগে “অনুর্ধ্ব ৬ বছর অন্ধত্ব ও মৃত্যু প্রতিরোধ” প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের অধীনে ২টি স্কুল শিক্ষক ও ৪টি স্বাস্থ্য কর্মী প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম এবং ৪টি বাচ্চাদের বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শিশুদের চোখের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ইন্টারন্যাশনাল রোটারী ক্লাব চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে আইকন ফানডাস ক্যামেরা ও টি.টি.টি যন্ত্র প্রদান করেছে, যা দিয়ে বাচ্চাদের চোখের ক্যান্সার চিকিৎসা আরও সহজতর হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সৃষ্ট জনসচেতনতা শিশুর অন্ধত্ব ও মৃত্যু প্রতিরোধ করবে বলে আশা করা যায়। এপর্যন্ত উক্ত কর্মসূচির আওতায় কঙবাজারের ঈদগাঁ ও চট্টগ্রাম কেরানীহাট ১৬৯ জন শিক্ষক এবং ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার ৩৮৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান শিশুর অন্ধত্ব ও মৃত্যু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শুরু থেকেই উক্ত কর্মসূচির আওতায় বিভিন্নস্থানে বিনামূল্যে অনুর্ধ্ব ৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। এপর্যন্ত ১৭৫ জন শিশুর চক্ষু পরীক্ষা করা হয় এবং ৮১ জন শিশুর বিনামূল্যে ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকরা স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে ধারণা দেন।
তাদেরকে প্রদত্ত পোস্টার দেখে ও ফ্লাইয়ার পড়ে বিদ্যালয়ে আগত অভিভাবকবৃন্দ সচেতন হচ্ছেন। তারা শিশুদের চোখের বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ কার্যকর ভূমিকা রাখছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কাছে আগত শিশুরোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রেরণ করছেন, যা বেশ আশাব্যাঞ্জক। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।