শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন যেন ছায়া জাতিসংঘ। কেউ ভারত, কেউ চীন, কেউ যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া। ছিল বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি। তুমুল বিতর্ক চলছে অধিবেশনে। ‘মানবাধিকার রক্ষায় কারোনাকালীন ও করোনা পরর্বতী সময়ে জাতিসংঘের ভূমিকা পর্যাপ্ত নয়’ এই বিষয় নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন এ একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এতে সাধারণ পরিষদের ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দৃষ্টি ও ইপসার আয়োজনে এই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। অধিবেশনে পর্যবেক্ষক ছিলেন ডা. ফয়সাল চৌধুরী, আফজালুর রহমান রিমন, সাইফুদ্দিন মুন্না ও সাংবাদিক ফেরদৌস আরা। ছায়া জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন কাজী আরফাত। বিতর্ক শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অনারারি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মহসিন, সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক ও ইপসার সমন্বয়ক আলী শাহিন। দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে আরো বক্তব্য দেন, সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, অর্থ সম্পাদক মুন্না মজুমদার এবং অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী রাফিদ ফারহান। অনুষ্ঠানে পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, তরুণ বিতার্কিকরা যেভাবে জাতিসংঘ মডেল বিতর্কে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করলো একদিন তারা বিশ্ব সভায় বাংলাদেশকেও এভাবে দক্ষতার সাথে প্রতিনিধিত্ব করতে সমর্থ হবে। ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, জাতিসংঘের জন্ম বিশাল চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায় হিসেবে। তাই করোনার এই সময়ে কোন দেশ বিশেষের উপর দোষারোপ, অনুযোগ না করে সবাইকে একত্রে মানবিকতা রক্ষায় কাজ করতে হবে। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চুয়েটের মুজাহিদুল আরিফিন, অসাধারণ প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহাদী রহমান এবং বিশেষ প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।