চট্টগ্রাম কাস্টমসে করোনাকালেও গতি বেড়েছে নিলামের। গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই নিলাম থেকে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। দ্রুত নিলামকৃত পণ্যের অনুমোদন শেষে ডিও ( ডেলিভারি অর্ডার) জারিসহ ভোগান্তি কমানোর কারণে নিলামের গতি বেড়েছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা। গত ২০২০ সালে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৩টি। কিন্তু এ বছরের জুন মাসের মধ্যেই ১১টি নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দুই নিলাম থেকে কাস্টমস রাজস্ব আয় হয় ১২ কোটি ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৮ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসের দুই নিলাম থেকে আয় ৬ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ৯০ টাকা, মার্চে দুই নিলাম থেকে আয় ১৫ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৫ টাকা, এপ্রিলে নিলাম অনুষ্ঠিত না হলেও রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮০ টাকা, মে মাসে ৩টি নিলাম থেকে রাজস্ব আয় ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৮ টাকা এবং চলতি জুন মাসে ২টি নিলাম থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮৪১ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে অনুষ্ঠিত ১১টি নিলাম থেকে মোট ৬৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯১ হাজার ২৫২ টাকা আয় হয়। অন্যদিকে গত ২০২০ সালের ১২ মাসে নিলাম হয় ১৩টি। বিপরীতে রাজস্ব আয় ৬৫ কোটি ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৯ সালে ১১ টি নিলামে রাজস্ব আয় ৭০ কোটি ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৬ টাকা, ২০১৮ সালে ২০টি নিলামে রাজস্ব আয় ৬৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ৭৯ টাকা, ২০১৭ সালে ১১টি নিলামে রাজস্ব আয় ৩৫ কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার ৮৪ টাকা এবং ২০১৬ সালে ৯টি নিলাম থেকে রাজস্ব আয় ২৬ কোটি ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিয়মিত বিডার ফজলুল আমিন বলেন, নিলামে গতি বেড়েছে এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো ছোট ছোট পরিমাণের পণ্যগুলো যাতে লটে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়, দেখা যায়- এসব পণ্য সারাবছরই তোলা হচ্ছে, কিন্তু কেউ বিড করছে না, কারণ ১০-২০ কেজি পণ্য কিনে কেউ পোষাতে পারবে না। সুতরাং ছোট লটের একই পণ্য একসাথে একটি মেগালট করে নিলামে উঠানো হলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার মো. আল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, করোনাকালেও কিন্তু আমরা নিলাম কার্যক্রম বন্ধ রাখিনি। দ্রুত নিলামকৃত পণ্যে ডিও জারি করছি। বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছি। ক্রেতারা পণ্য বিক্রি করে লাভ করতে পারলে তখন নতুন নতুন ক্রেতা আসবে। এছাড়া আমরা ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পণ্যের ইনভেন্ট্রি করছি। যাতে ভবিষ্যতে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য আমরা নিলামে তুলতে পারি। এসব কারণে নিলামে বিডাররাও আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করছেন।