অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, আমরা করের বোঝা কমিয়ে নিয়ে আসবো। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কর আদায় অব্যাহত রাখার পাশাপাশি কর পরিশোধ করার প্রক্রিয়াও আরো সহজ করা হবে। গতকাল রোববার সকালে নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আয়কর রিটার্ন সাবমিটে প্র্যাকটিস নিয়ে আমরা কাজ করছি। দেখা যায়, নিবন্ধিত হওয়ার পরেও অনেকেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না। আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম চেম্বারের সহযোগিতা চাই। অপরদিকে কর আদায়ে অটোমেশন ব্যবস্থা যুক্ত করার কাজ চলছে। এটি করলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। দুই বছরে ধাপে ধাপে কর ও ভ্যাটের কোথায় কোথায় অন্তরায় সেগুলো শনাক্তের চেষ্টা করেছি। দীর্ঘদিনের প্র্যাকটিস, মাইন্ডসেট থেকে সরে আসতে একটু সময় লাগছে।
তিনি আরো বলেন, কর্পোরেট ট্যাক্সে আমরা একটা ভালো সংখ্যক কর্পোরেট বডি চিহ্নিত করেছি। যাদের ঠিকানা নেই, কোনো কার্যক্রম নেই। কিন্তু তারা এনলিস্টেড। তাদের করের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছি আমরা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অনেক ব্যবসায়ী অনলাইন ব্যবসাকে করের আওতায় আনার কথা বলছেন। আপনাদের বুঝতে অনলাইন ব্যবসা আমাদের দেশে মাত্র বিকশিত হচ্ছে। তাদের ওপর কর আরোপ না করারও অনুরোধ রয়েছে। তাদের কঠিন হাতে ধরা যাবে না। এ খাতে নারী ও তরুণ প্রজন্মের আত্মকর্মসংস্থান বেড়েছে। আমরা কড়াকড়ি করতে চাই না। তবে বড় বড় অনলাইন ব্যবসায়ীদের ইতোমধ্যেই আমরা করের আওতায় এনেছি।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, গত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করি। এই সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা, পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫, ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং তদুর্ধ্ব ২৫ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা উচিত। এ ছাড়া পাবলিকলি ট্রেডেড নয় এরূপ কোম্পানির করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণের অনুরোধ জানান। অপরদিকে সারচার্জবিহীন নীট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি টাকার পরিবর্তে ৫ কোটি নির্ধারণ, ইপিজেডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ৫ বছরের কর অবকাশ সুবিধার প্রত্যয়ন পত্র এককালীন ইস্যু করা, লৌহ ও লৌহজাত পণ্যের ক্ষেত্রে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণ, চূড়ান্ত করদায় বাতিল করে কর সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা, স্ক্র্যাপ আমদানির করহার টন প্রতি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা করা, এলপি গ্যাস বিক্রি পর্যায়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে প্রতি কেজি ২ টাকা হারে ট্যারিফ ভ্যাট প্রবর্তন, সিনথেটিক দিয়ে তৈরি জুতা রপ্তানিতে নিয়োজিত ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে শুল্ক মুক্তভাবে খুচরা যন্ত্রাংশ, আর্দ্রতা নিরোধক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল র্যাক আমদানি অনুমোদন, প্রচ্ছন্ন রপ্তানির সংজ্ঞা স্পষ্টীকরণ এবং এক্ষেত্রে ডলারে লোকাল এলসি খোলার ব্যবস্থা করা, ২ শতাংশ প্রতিবন্ধী নিয়োগ করলে ৩ শতাংশ কর ছাড়, এলপিজি কনভার্সন কার্যক্রম চালানোর জন্য ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিতে সিএনজির ন্যায় সুবিধা প্রদান এবং শিপ রিসাইক্লিং এ গ্রীণ ইয়ার্ড তৈরিতে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি শতভাগ শুল্কমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন।
চেম্বার সভাপতি ভ্যাটের ক্ষেত্রে ৪ মাস পর্যন্ত সমন্বয়ের মেয়াদ বৃদ্ধি, মূসক ২.৩ এ লিমিটেড কোম্পানি হলে উৎসে ভ্যাট থেকে অব্যাহতি, মেডিকেল ডিভাইস এন্ড সার্জিক্যাল ইনস্টলমেন্ট উৎপাদনে উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেন এবং বিদ্যমান ক্লিনিক ও হাসপাতালসমূহে মানসম্মত ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু করতে বিশেষ বরাদ্দের অনুরোধ জানান।
এনবিআর সদস্য (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের প্রকৃতিগত পার্থক্য রয়েছে। সব শুল্ক স্টেশনে একই হারে শুল্কায়নের দাবি যৌক্তিক। এনবিআর দেশি শিল্পের প্রসার, রাজস্ব আহরণ ও চোরাচালান রোধে কাজ করছে। আমাদের অনুরোধ, সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিন, এইচএস কোডসহ দিন। আমাদের পুরো দেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হয়।
এনবিআর সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমদ বলেন, ট্যাঙ না দিলে উন্নয়ন হবে না। আইনের বাইরে কেউ কাজ করতে পারবে না। অনলাইন ব্যবসা করের আওতায় আছে, মনিটরিং জোরদার করা হবে। এনবিআর সদস্য (মূসক নীতি) জাকিয়া সুলতানা বলেন, অনেক ভালো ভালো প্রস্তাব এসেছে। সিগারেট বড় রাজস্ব খাত। নকল ব্যান্ড রোল ব্যবহারে রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। ভ্যাটের পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসনে কাজ করছে এনবিআর।
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, এইচএস কোডের কারণে সমস্যায় পড়ছি। এটা সহজ করতে হবে। ৪ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তাই ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, ইজ অব ডুয়িং বিজনেসকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। বিজিএপিমিইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল বলেন, আগামী বাজেটে পোশাক রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখতে গার্মেন্টস এঙেসরিজ ও প্যাকেজিং সেক্টরের কর্পোরেট ট্যাঙ ১০/১২ ধার্য করা উচিত। এ ছাড়া শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা পরিচালনায় অত্যাবশ্যকীয় লাইসেন্স নিবন্ধনের মেয়াদ এককালীন ৩ বছর ধার্য করার অনুরোধ জানান তিনি।
চট্টগ্রাম চেম্বার সহ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে আমদানির পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন ডলার এবং জিডিপি ৩৫০ বিলিয়ন ডলার। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আগামী ১০ বছরে জিডিপি হতে হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি এক্ষেত্রে দেশে আমদানি পণ্যের বিকল্প পণ্য উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি দেশে প্রতি বছর কোন ধরণের পণ্য কি পরিমাণ আমদানি হয় তার জন্য তথ্য-উপাত্ত প্রকাশের লক্ষ্যে এনবিআর কর্তৃক একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, বিএসআরএম’র চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, জিপিএইচ ইস্পাতের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ও কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক, কঙবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আবু মোরশেদ চৌধুরী, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আবদুল ওয়াদুদ, রিহ্যাব-চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান আব্দুল কৈয়ূম চৌধুরী, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ সভাপতি আবিদা মোস্তফা, লুব-রেফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ, তামাক চাষী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি ও আবুল খায়ের গ্রুপের জিএম (একাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স) আবদুল আউয়াল মোহন, চিটাগাং ট্যাঙেস বার এসোসিয়েশনের সভাপতি বাবু নিতাই চন্দ্র দাশ, চট্টগ্রাম জেলা দোকান মালিক সমিতির মহানগর সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান এবং আন্তঃজিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি : এদিকে গতকাল বেলা দেড়টায় নগরীর হোটেল আগ্রাবাদের ক্রিস্টাল বলরুমে আয়োজিত প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনায় সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, করোনাকালে অন্যান্য শিল্পের মত পোশাক শিল্পও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এই শিল্পের ক্ষতি থেকে উত্তরণে অন্যান্য বিষয়ের সাথে সাথে কর ও শুল্ক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আবশ্যক বলে আমি মনে করি। আগামী বাজেটে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি বিলের উপর উৎসে কর কর্তনের বর্তমান হার ০.৫০ শতাংশ। এই হার আগের মতো ০.২৫ শতাংশ করার জন্য সুপারিশ করছি। পোশাক শিল্পের কর্পোরেট করহার ১০ শতাংশ ও ১২ শতাংশ ভবিষ্যতেও বহাল রাখা দরকার। পোশাক শিল্পের আয়কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য আয়কর আইনের বিধান আরো সহজ ও গতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যেহেতু নগদ লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তার কর পরবর্তী মুনাফা হতে উক্ত লভ্যাংশ প্রদান করে থাকে সেহেতু উক্ত লভ্যাংশের উপর আবার করারোপ আইনসঙ্গত নয় বা করের বোঝা চাপানোর নামান্তর এবং একই বছর একই আয়ের উপর দ্বৈত করারোপের সামিল। তাই ব্যক্তি খাত ও কোম্পানি খাতে নগদ লভ্যাংশ প্রাপ্তিকে কর অব্যাহতি আয় হিসাবে গণ্য করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা অথবা কোম্পানি খাতের ন্যায় ব্যক্তি খাতেও উৎসে কর্তনকৃত কর চূড়ান্ত করদায় হিসাবে বিবেচিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ব্যক্তি খাতে নীট সম্পত্তির উপর প্রতি বছর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ আমার মনে হয় করদাতার জন্য অনেক বড় বোঝা এবং শাস্তি স্বরূপ। কেননা উক্ত সারচার্জ প্রতি বছর একই সম্পত্তির উপর দিতে হচ্ছে এবং উক্ত সম্পত্তি সমূহ কর প্রদান পরবর্তী অর্জিত সম্পদ। যদি সারচার্জ আরোপ করতেই হয় তাহলে এটা একটা নামমাত্র হার হওয়া উচিত। যেমন ১ শতাংশ অথবা ২ শতাংশ।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, সার্বিকভাবে আপনারা লোহা ও সিমেন্টে ট্যাঙলোডের কথা বলেছেন। আমরা গত দুই বছরে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে এনেছি। গত দুই বছর আগে কোথায় ছিল সেটি কিন্তু আপনারা বলেননি। এই দুই বছরে আমরা ট্যাঙলোড কমিয়েছি। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে করের আওতা বাড়ানোর মাধ্যমে করের হার কমিয়ে কর প্রদানকে সহজ করা। কর ফাঁকির প্রবণতা বন্ধ করা। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলছি। কি কি করলে কর প্রদান সহজ হবে এটা নিয়ে আমরাও কাজ করছি। সে চেষ্টা আমাদের আছে। আমরা ধাপে ধাপে সব করবো। সভায় কিছু কিছু বিষয়ের উপর বিশদ বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী। এ ছাড়া প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনের পরিচালক ও বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, পরিচালক আমির আলী হুসেন, পরিচালক আবুল বাশার চৌধুরী, সদস্য শহিদুল আলম, তৌফিকুল আলম এবং কেডিএস গ্রুপের প্রতিনিধি মোদাচ্ছের আহমেদ সিদ্দিকী। সভায় উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি এম এ মালেক, সহ সভাপতি আবদুস সালাম ও পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী প্রমুখ।