কমেছে ওয়াসার রাজস্ব আদায়

প্রতি মাসে আবাসিক গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় কমেছে ২ কোটি টাকা, ৪ মাস ধরে এই অবস্থা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১১ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব আদায় কমে গেছে। বিশেষ করে গত ৩৪ মাস ধরে আবাসিক গ্রাহকদের (ব্যক্তি মালিকানাধীন সংযোগে) কাছ থেকে রাজস্ব আদায় (মাসিক পানির বিল) কমেছে প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকার উপরে।

ওয়াসার রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাস থেকে আবাসিক গ্রাহকদের কাছ থেকে ওয়াসার টার্গেটের চেয়ে প্রতি মাসে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। আগে কখনো আবাসিক গ্রাহকদের কাছে পানির বিল বকেয়া থাকত না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রুমন দে।

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন মানুষের জীবযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে; আয় কমে গেছে। আয়ের সাথে ব্যয়ের হিসেব মেলাতে পারছে না মানুষ।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ওয়াসার আয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে পানি বিক্রি। এ পানির ক্রেতা নগরীর ৮৬ হাজার ৩০৯ জন গ্রাহক।

এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৫৪২। বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। নগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে আবাসিক বাসাবাড়ির গ্রাহকরা ১ হাজার লিটার পানি পাচ্ছেন ১৮ টাকায়। বাণিজ্যিক বা অনাবাসিকে গ্রাহকরা একই পরিমাণ পানির জন্য ওয়াসাকে দিচ্ছেন ৩৭ টাকা।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রুমন দে আজাদীকে বলেন, প্রতি মাসে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছে পানির বিল হয় ২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে যেন ৯০ শতাংশ আদায় হয়, সেই টার্গেট থাকে। প্রায় ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা প্রতি মাসে রাজস্ব আদায় হচ্ছিল। কিন্তু গত ৩৪ মাস ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, রাজস্ব আদায় ১৩ থেকে ১৪ কোটি টাকায় নেমে গেছে। দেখা গেছে, গত ৩৪ মাসে ব্যক্তি মালিকানাধীন সংযোগে রাজস্ব আদায় প্রতি মাসে ২ কোটি টাকা কমে গেছে। এ রকম আগে কখনো হয়নি। আমাদের সরকারি স্থাপনায় (সংযোগে) মাসিক বিল বকেয়া থাকত। ব্যক্তিগত সংযোগে (আবাসিক) মাসিক পানির বিল তেমন বকেয়া থাকত না।

প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, সরকারি স্থাপনাগুলোতে বকেয়া বিলের পরিমাণ বেশি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতি মাসে ওয়াসার পানির বিল পরিশোধের বরাদ্দ থাকে না। তারা প্রতি জুনে বিল পরিশোধ করে। সরকারি ও প্রাইভেট খাতে (আবাসিক গ্রাহক) ওয়াসার বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ১৬০ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে বেশি বকেয়া রয়েছে গণপূর্তের কাছে, প্রায় ৯ কোটি টাকা। এরপর সিটি কর্পোরেশনের বকেয়া প্রায় ৫ কোটি টাকা। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সড়ক ও জনপথ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, সিডিএসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রাম ওয়াসার বকেয়া রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ বশির বাণিজ্যে ও ফারুকী সংস্কৃতিতে, অন্যদের দপ্তরেও বড় রদবদল
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার