জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর তারা জোর করে কিছু চাপিয়ে দেবেন না। তার ভাষায়, সনদ বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা কমিশনের কাছে নেই। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন সরকারকে জানাতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ। ২৯টি রাজনৈতিক দল এদিন আলোচনায় অংশ নেয়। খবর বিডিনিউজের।
জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া হলেও সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাস্তবায়নের উপায় কী হবে তা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে এক জায়গায় আনতে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফার এই বৈঠক। বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৪ প্রস্তাবের দুটিতে দলগুলো একমত হয়েছে। যে বিষয়গুলো অধ্যাদেশ জারি করে এবং নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সেগুলো সরকার ঠিক করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।
দলগুলোর উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, সর্বশেষ আলোচনায় নোট অফ ডিসেন্টসহ কিছু কিছু জায়গায় আমরা একমত হতে পেরেছিলাম। তার একটি খসড়া আমরা আপনাদের দিয়েছিলাম, আপনারা মতামত দিয়েছেন। অঙ্গীকারনামার বিষয়ে বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত খসড়া বিকাল নাগাদ পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল করে আমরা একাধিকবার আলোচনা করেছি। এই প্যানেলে দুইজন সাবেক বিচারপতি, তিনজন আইনজীবী, একজন আইনের শিক্ষক ছিলেন। প্যানেলে আলোচনার এক পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে যোগ দিতে বলেছিলাম, তিনি যোগ দিয়েছিলেন। আইন উপদেষ্টা একটা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে বুঝতে পেরেছি, জুলাই সনদের কিছু কিছু বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে।
আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবের নিয়ে আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাচ্ছি না। জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেব না। আমরা চাচ্ছি বিশেষজ্ঞ প্যানেল এবং দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকারকের কাছে সুপারিশ করতে।












