চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বিজিএমইএ নেতারা। গতকাল সংগঠনের প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমানসহ নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তীতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী, পরিচালক এনামুল আজিজ চৌধুরী ও সাকিফ আহমেদ সালাম। অন্যদিকে সিএমপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপ–পুলিশ কমিশনার (সদর) মুহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ এবং উপ–পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. রইছ উদ্দিন।
মতবিনিময়ে সেলিম রহমান বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, ঝুট ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষ, কারখানা ভাঙচুর ও শ্রমিক উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পুলিশের সহযোগিতা জরুরি। রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের গাড়িতে (কার ও মাইক্রোবাস) যদি সিএমপি বা বিজিএমইএর স্টিকার থাকে তবে সেগুলো রিক্যুইজিশন না করার জন্য অনুরোধ জানান। একইসাথে, স্টিকার না থাকলেও কারখানার বৈধ পরিচয়পত্র থাকলে সেই গাড়িগুলোও রিক্যুইজিশনের আওতামুক্ত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী বলেন, বিজিএমইএ সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোন বেআইনী কর্মকাণ্ডে আমরা কখনোই অনৈতিক সহযোগিতা চাই না। তবে পোশাক শিল্পে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, শ্রমিক উস্কানি বা সংঘর্ষের মতো ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষায় সিএমপির সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি গার্মেন্টস খাতের ভাবমূর্তি রক্ষায় পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে এবং শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ ও শিল্প মালিকদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, এখন থেকে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের গাড়ি (কার ও মাইক্রোবাস) রিক্যুইজিশনের আওতার বাইরে থাকবে। একইসাথে তিনি পোশাক মালিকদের আহ্বান জানান–যে কোন অভিযোগ সরাসরি ‘হ্যালো সিএমপি’ প্ল্যাটফর্মে জানালে পুলিশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা সমাধান করবে।