কমার্স কলেজে ছাত্রদল-শিবির হাতাহাতি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১ জুন, ২০২৫ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির দুই পক্ষ হেল্প ডেস্ক চালু করে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা হেল্প ডেস্কগুলো থেকে সহায়তা নিচ্ছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেটি হাতাহাতির পর্যায় চলে যায়। এ সময় কলেজ এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়।

ছাত্রশিবির কমার্স কলেজ শাখার সভাপতি সাদনান ফাহিম বলেন, আমরা সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তিচ্ছুদের জন্য গত শুক্রবার হেল্প ডেস্ক চালু করি। আজকে সকালে (গতকাল) হেল্প ডেস্ক থেকে শিক্ষার্থীদের সহায়তাও দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু দুপুরের দিকে ছাত্রদলের কর্মীরা এসে আমাদের ব্যানার টানাটানি করে এবং ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। হেল্প ডেস্কে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়।

ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কে আগে সহযোগিতা করবে সেটা নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও ঠেলাঠেলি হয়েছে। তারা এটাকে টেনে শুধু শুধু লম্বা করছে।

ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির হেল্প ডেস্ক চালু করে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা হেল্প ডেস্কগুলো থেকে সহায়তা নিচ্ছিল। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।

হামলাকারীদের বিচার দাবি শিবিরের : কমার্স কলেজে হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান মহানগর দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি।

হামলায় শিবিরের চার নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করেছেন সংগঠনটি। তারা হলেন শিবিরের মহানগর দক্ষিণ কলেজ সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম, ডবলমুরিং থানার সভাপতি ফাহিম উদ্দিন তামিম, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হাদী রাহি ও শিবিরের সাথী কামরুজ্জামান জীবন। এ সময় দুটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেট্রোল অকটেন ও ডিজেলের দাম কমল, বেড়েছে কেরোসিনে
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপিকে কাল যমুনায় ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা