কমতে শুরু করেছে সবজির দাম

সরবরাহ বেড়েছে

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

সরবরাহ বাড়ার কারণে শীতকালীন সবজিসহ প্রায় সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে কমেছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। এর ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে বাজারে। ভোক্তারা বলছেন, প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে সবজি কিনে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেন সবজি বিক্রেতারা। সেখানে এক কেজি শীতকালীন সবজির দাম পড়ে মাত্র ১৫-২০ টাকা। অথচ বাজারে সেটি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তহের ব্যবধানে শিম কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। এছাড়া বাঁধাকপি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ফুলকপি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা, কাকরল ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, লাউ ২৫ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০ টাকা ৫০ টাকা, মুলা ১০ টাকা কমে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে পটল, ঢেঁড়শ, কচুর লতি ও পেপের দাম। বর্তমানে পটল ৪০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ও পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম দৈনিক আজাদীকে জানান, সাধারণত বৃষ্টির সময় সবজির বাজারে সবজির দাম বাড়ে। গত দুই মাস ধরে আবহাওয়া সবজির ফলনের অনূকূলে থাকায় বাজারে সবজির সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। এরপ্রভাবে বাজারে সবজির দামও গত এক সপ্তাহে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
খোরশেদ আলম নামের এক ক্রেতা জানান, সবজির দাম এখনো চড়া বলতে হবে। কারণ শীতকালীন সবজির দাম কোনোটি কিন্তু ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে না। অথচ আমরা শুনছি, এ বছর সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক। তাই এই সময়ে সবজির এমন দাম আশা করা যায়নি। গত সপ্তাহের তুলনায় হয়তো দাম কিছুটা কমেছে। আসলে আমাদের দেশে প্রশাসন কেবল রমজান মাস এলে বাজারে নজরদারি করে। বাকি সময়টা তাদের কোনো খবর থাকে না। এর ফলে ব্যবসায়ীরা নিজের খেয়াল-খুশিমতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যর্থতার গল্প পেরিয়ে মাল্টায় সাফল্য
পরবর্তী নিবন্ধকুয়েট শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু